বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় মঞ্চ হতে চলেছে, ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বার্তা বহনকারী এক আয়োজন— এমনটাই মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ভাষায়, ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ শুধু খেলা নয়, হতে পারে যুদ্ধ থামানোর ‘রাজনৈতিক প্রণোদনা’।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর যৌথ আয়োজনে হতে যাওয়া এই বিশ্বকাপে রাশিয়ার অংশগ্রহণ এখনো অনিশ্চিত। ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের জেরে দেশটি আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ ফিফা ও উয়েফার দ্বারা। তবে ট্রাম্পের মতে, বিশ্বকাপে ফিরতে পারার সম্ভাবনা রাশিয়াকে শান্তির পথে নিয়ে আসার জন্য কার্যকর হতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘রোমাঞ্চিত অনুভব করছি’ — বাংলাদেশের হয়ে খেলার সুযোগে শমিতের উচ্ছ্বাস

২০২৬ বিশ্বকাপ প্রস্তুতি বিষয়ক এক বৈঠকে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর পাশে বসে ট্রাম্প বলেন, “আমি জানতাম না রাশিয়া নিষিদ্ধ। এটি খুবই বড় বিষয়। হতে পারে, বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার সুযোগই তাদের জন্য যুদ্ধ থামানোর ভালো একটি কারণ হয়ে উঠবে। আমরা চাই যুদ্ধ শেষ হোক। প্রতি সপ্তাহে হাজার হাজার তরুণ প্রাণ হারাচ্ছে— এটা অবিশ্বাস্য।”
ফিফা প্রেসিডেন্ট ইনফান্তিনোও শান্তির আশা ব্যক্ত করে বলেন, “রাশিয়া এখন নিষিদ্ধ, তবে ভবিষ্যতে শান্তি ফিরলে তারাও ফিরতে পারবে মাঠে।”
এর আগে ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি যদি ২০২৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হন, তবে হোয়াইট হাউসে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই ইউক্রেন যুদ্ধ থামাবেন।

বিশ্বকাপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপত্তা ও অভিবাসন পরিকল্পনা নিয়েও উচ্চপর্যায়ের প্রস্তুতি চলছে। ১০৪ ম্যাচের মধ্যে ৭৮টিই হবে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে। তাই আগেই দর্শনার্থীদের উদ্দেশে সতর্কতা দিয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, “বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আমরা অতিথি স্বাগত জানাবো, তবে খেলা শেষে সবাইকে নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে।”
ভিসা প্রক্রিয়া, নিরাপত্তা জোরদারকরণ এবং আন্তর্জাতিক আগমন নিয়ে ইতোমধ্যেই সরব মার্কিন প্রশাসন। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি জানিয়েছেন, ক্লাব বিশ্বকাপের মাধ্যমে শুরু হচ্ছে প্রস্তুতির প্রথম ধাপ।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে আসতে পারে ‘সুলিভান ব্রাদার্স’

ট্রাম্পের আশা, বিশ্বকাপ শুধু গোল আর ট্রফির গল্প নয়— হতে পারে এটি এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ, যেখানে ফুটবল বিশ্বকে দিতে পারে শান্তির নতুন বার্তা। তাঁর বিশ্বাস, “এটাই হবে ফিফার সর্বকালের সেরা টুর্নামেন্ট।”