২০০২ সালের পর এই প্রথম শীর্ষ লিগের শিরোপা উঠল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ঘরে। দীর্ঘদিন ধরে চাওয়া-পাওয়ার হিসাব মেলাতে না পারা ঐতিহ্যবাহী দলটি অবশেষে পেল কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। আর সেই পথটা সহজ করে দিল আবাহনী লিমিটেড, কুমিল্লায় ফর্টিসের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য মোহামেডানের দরকার ছিল না আর কোনো ম্যাচ জয়। শুধু তাকিয়ে ছিল প্রতিপক্ষের হোঁচটের দিকে। আবাহনীর হারে সেই সম্ভাবনাটাই বাস্তবে রূপ নিল। ফলে তিন ম্যাচ হাতে রেখেই ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গেল মোহামেডানের।
আরও পড়ুন: পিএসএলে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত সাকিব

২০০৭ সালে পেশাদার লিগ নামকরণের পর এই শিরোপাটাই হয়ে উঠেছিল সাদাকালোদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। গত মৌসুমেও তারা ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, তবে শেষ পর্যন্ত থেকে গিয়েছিল দ্বিতীয় স্থানে। এবার আর কোনো সংশয়ের সুযোগ রাখেনি দলটি।
অন্যদিকে, ১৫ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট পাওয়া আবাহনীর সামনে এখন লক্ষ্য রানার্সআপ হওয়া। তবে সেই পথটাও সহজ নয়। কারণ, সমান ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পেছনে বসে আছে বসুন্ধরা কিংস।
শনিবার (১৭ মে) কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরুতেই জমে ওঠে। ফর্টিস এফসির আক্রমণে চাপে পড়ে যায় আবাহনী। ওমার বাবুর এক শট প্রথমে প্রতিহত হলেও পরে তিনিই পেনাল্টি আদায় করে এনে দলকে এগিয়ে নেন।
এরপর আসে বাধা— বৃষ্টি ও বজ্রপাতের কারণে খেলা কিছু সময় বন্ধ রাখতে হয়। মাঠে পানি জমে যাওয়ায় খেলায় ছন্দ ফিরে পেতেও সময় লাগে দুই দলের।
আরও পড়ুন: ভারতে ফিরছে আইপিএলের বিদেশি ক্রিকেটাররা

দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফেরার চেষ্টা করে আবাহনী। ৬৫তম মিনিটে একটি সুযোগও আসে, কিন্তু ফর্টিস গোলরক্ষক সারোয়ার জাহান তা রক্ষা করেন। পরে বল দখলের লড়াইয়ে সংঘর্ষে লাল কার্ড দেখে ফর্টিসের মঞ্জুর রহমান মানিক, হলুদ কার্ড পান আবাহনীর সুমন রেজা।
সংখ্যাগত সুবিধা কাজে লাগানোর আগেই গোল হজম করে বসে আবাহনী। দুর্দান্ত দূরপাল্লার শটে স্কোরলাইন ২-০ করেন ফর্টিসের সাজেদ জুম্মন নিঝুম। মিতুল পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও ফিরে গিয়ে আর বল ঠেকাতে পারেননি।
শেষদিকে একমাত্র গোলটি শোধ করেন মোহাম্মদ হৃদয়। রাফায়েল আগুস্তোর ফ্রি-কিক থেকে হেডে বল জালে পাঠান তিনি। কিন্তু তা যথেষ্ট হয়নি ম্যাচ বাঁচাতে।
আরও পড়ুন: আকবরের ব্যাটে প্রত্যাবর্তনের ঝলক