“প্রিয় বাংলাদেশ, আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা আমাকে পাসপোর্ট পাওয়ার প্রক্রিয়ায় সাহায্য করেছেন।”
এই কথায় যেনো লুকিয়ে আছে বহুদিনের অপেক্ষা, ত্যাগ আর আবেগ। ইংল্যান্ডের সান্ডারল্যান্ড ক্লাবে বেড়ে ওঠা কিউবা মিচেল অবশেষে বাংলাদেশি নাগরিক হলেন। আর তার এই নাগরিকত্ব শুধু একটি পরিচয় নয়, বরং একটি স্বপ্নপূরণের সীমানা ছোঁয়ার মুহূর্ত।
আরও পড়ুন: বিক্রি শেষ হামজা-সমিতদের সিঙ্গাপুর ম্যাচের সব টিকিট
গত ২৭ মে বার্মিংহামের বাংলাদেশ কনসুলেটে গিয়ে মা-কে সঙ্গে নিয়ে নাগরিকত্বের আবেদন করেছিলেন কিউবা। এরপর একে একে সব আনুষ্ঠানিকতা পার করে, অবশেষে ১ জুন পেয়েছেন সেই কাঙ্ক্ষিত খবর—“পাসপোর্ট প্রস্তুত!” সোমবার (২ জুন) আনুষ্ঠানিকভাবে কনসুলেট থেকে তিনি সেটি হাতে পাবেন।
টি-স্পোর্টসে এক ভিডিওবার্তায় কিউবা বলেন, “এখন আমিও একজন গর্বিত বাংলাদেশী, ঠিক আপনাদের সবার মত।”
অর্থাৎ, কিউবা এখন শুধু সান্ডারল্যান্ডের ফুটবলার নন, তিনি এখন বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার অপেক্ষায় থাকা এক তরুণ সৈনিক। যদিও এখনো ফিফার চূড়ান্ত ছাড়পত্র আসেনি, তবে পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পর সেই অনুমোদন আর সময়ের ব্যাপার মাত্র। ফিফার ক্লিয়ারেন্স পেলেই খুলে যাবে জাতীয় দলের দরজা। ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের ম্যাচ সামনে রেখে যে স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছিল, সেখানে ছিলেন না কিউবা। কারণ, তখনো তার নাগরিকত্ব চূড়ান্ত হয়নি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পাসপোর্ট সম্পন্ন হলো কিউবা মিচেলের
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয় দলের যাথে যোগ দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। আমি খুব শীঘ্রই বাংলাদেশে আসার জন্য ফ্লাইট ধরব। আমি আপনাদের সকলকে মাঠে দেখতে এবং বাংলাদেশের জন্য বড় কিছু করতে মুখিয়ে আছি।”
সান্ডারল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২১ দলে নিয়মিত খেলা কিউবার পারফরম্যান্সে কোচরাও বেশ সন্তুষ্ট। ধাপে ধাপে এগোতে থাকা এই মিডফিল্ডারকে ভবিষ্যতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেও দেখা যেতে পারে বলে ধারণা অনেকের। কিন্তু তার মন পড়ে আছে লাল-সবুজের পতাকায়।
যদি সব কিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোয়, তবে খুব শিগগিরই কিউবার অভিষেক হতে পারে দেশের মাঠেই। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলতে দেখা যেতে পারে জামাল, হামজা, শমিতদের সঙ্গে। কিউবা মিচেল আসছেন। এবং তার আগমন মানে শুধু আরেকজন ফুটবলার নয়, বরং এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
যেমনটা তিনি নিজেই বলেছেন, “দেখা হবে মাঠে।”
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পৌঁছেছেন হামজা চৌধুরী