এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত এক জয় পেল বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। র্যাঙ্কিংয়ে ৩৬ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইনকে ৭-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে বাছাইপর্বে নিজেদের যাত্রা শুরু করল পিটার বাটলারের শিষ্যরা। ইয়াঙ্গুনের থুউন্না স্টেডিয়ামে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দারুণ ছন্দে খেলেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটেই স্বপ্না রানীর এসিস্ট থেকে দলকে এগিয়ে দেন শামসুন্নাহার। এর ঠিক ৬ মিনিট পর আবারও স্বপ্নার ঝলক। এবার মাঝমাঠ থেকে লং বলে খুঁজে নেন ঋতুপর্ণা চাকমাকে। আর বক্সের ভেতর থেকে চোখধাঁধানো এক গোলে প্রতিপক্ষের গোলকিপারকে বোকা বানান তিনি।

আরও পড়ুন: হেরেই ইউরোপ ছাড়ছেন কিংবদন্তি ডি মারিয়া
আর গোল করেই আকাশের দিকে তাকিয়ে নীরব উদযাপন করেন এই ফুটবলার। তিন বছর আগে আজকের দিনেই যে নিজের একমাত্র ছোটভাইকে হারান ঋতুপর্ণা চাকমা। আকাশপানে তাকিয়ে করজোড়ে তাই ভাইকেই স্মরণ করেন তিনি। বেঁচে থাকতে প্রিয় দিদির কোনো ম্যাচই যে মিস করতেন না পার্বণ।
এরপর প্রথমার্ধে আরও তিন গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। একাই দুই গোল করেন তহুরা খাতুন। অপর গোলটি করেন কোহাতি কিসুক। আর ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় পিটার বাটলারের শিষ্যরা।

বিরতি থেকে ফিরেও আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। এরই ধারাবাহিকতায় বাহরাইনের এক খেলোয়াড়ের পা থেকে আসে আত্মঘাতী শটে গোল। ফলে ম্যাচে ষষ্ঠবারের মতো এগিয়ে যায় টাইগ্রেসরা। আর ৭৪ মিনিটে কফিনের শেষ পেরেক ঠুকে দেন মুনকি আক্তার। শেষ পর্যন্ত ৭-০ গোলের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: বরখাস্ত হলেন হামজাদের কোচ
বাংলাদেশ নারী দলের জন্য এটি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে প্রথম জয়। এর আগে কখনো এই মঞ্চে জয় পায়নি বাংলাদেশ। এমন জয়ে আগামী ম্যাচগুলোর জন্য বড় আত্মবিশ্বাস পেল দল। মাঠে ছন্দময় ফুটবল খেলে প্রতিটি আক্রমণেই বিপদে ফেলেছে বাহরাইনকে। আক্রমণে যেমন মুন্সিয়ানা দেখিয়েছে দল, তেমনি রক্ষণে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। আর গোলরক্ষক রুপ্না চাকমা বেশ কয়েকটি সুযোগ ঠেকিয়ে দিয়েছেন।

অন্যদিকে বাছাইপর্বে প্রথম ম্যাচেই এমন বড় জয়ে আপাতত পয়েন্ট টেবিলেও ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ নারী দল। যদিও গ্রুপ সি তে সমান পয়েন্ট নিয়েও শুধুমাত্র গোল ব্যবধানে পিছিয়ে আপাতত মায়ানমারের পরেই রয়েছে তারা। এখন সামনে বাকি ম্যাচগুলোতে এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখাই লক্ষ্য লাল-সবুজের বাঘিনীদের।
আরও পড়ুন: ভিনিসিয়াসের ঝলকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ