অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ফিফটিতে তৃতীয় দিন শেষে ১১২ রানের লিড পেয়েছে টাইগাররা। বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে এক প্রান্ত আগলে রাখে টাইগার এই অধিনায়ক। আর তার সুবাদেই ৪ উইকেটে ১৯৪ রানে দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। সিলেটের মাটিতে প্রথম দিনে ব্যর্থ স্বাগতিকরা দ্বিতীয় দিনে এসে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলো বোলারদের কল্যাণে। মেহেদী মিরাজের ১১তম ফাইফারে জিম্বাবুয়েকে ২৭৩ রানে থামিয়ে দেয় টাইগাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান তুলে দিনের খেলা শেষ করেছিলো বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: তাওহীদ হৃদয়কে খেলাতে ডিপিএলের নিয়ম বদল
২৫ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের শুরু করতে যাওয়া বাংলাদেশের লক্ষ্যই ছিলো বড় সংগ্রহ দাঁড় করানো। তবে এদিন অবশ্য বৃষ্টিতে খেলা শুরু হতে দেরি হয়েছে। খুব একটা বৃষ্টি না থাকলেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতেই ভেস্তে যায় প্রথম সেশনের খেলা। বেলা একটার দিকে খেলা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই বিদায় নেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়।

শর্ট বলে বারবার পরাস্থ হওয়া জয় কাটা পড়লেন সেই একই লেন্থের বলে। মুজারাবানির করা শর্ট বল খেলতে গিয়ে বল প্রথম স্লিপে ক্রেইগ আরভিনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন জয়। ৬৫ বলে ৩৩ করে ফিরলেন বাংলাদেশের এই ওপেনার। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে খেলতে থাকেন দেখেশুনে। দুজনের ব্যাটে ভর করেই লিড নিয়ে নেয় টাইগাররা। মাঝে অবশ্য উইকেট কিপার মায়াভোর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন শান্ত। তবে সফরকারীদের এই উইকেট কিপার সেই ক্যাচ ধরতে ব্যর্থ হন।
ইনিংসের ৩৪তম ওভারে ভিক্টর নিয়াউচির শেষ বলে উইকেটকিপার মায়াভোর হাতে ক্যাচ তুলে দেন মুমিনুল। এবার অবশ্য ক্যাচ লুফে নিতে ভুল করেননি এই ব্যাটার। শেষ হয় এই বাহাতি ব্যটারের ৮৪ বলের ইনিংস। ৬ চারে মুমিনুলের ব্যাটে আসে ৪৭ রান। মুমিনুলের বিদায়ের পর হতাশ করেছেন মুশফিক। মুজারাবানি বলে ব্যক্তিগত ৪ রানে প্রথম স্লিপে আরভিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন এই ব্যাটার।

মুশফিকের বিদায়ের পরই চা বিরতিতে যায় দুই দল। বিরতির পর ফিফটির দেখা পান অধিনায়ক শান্ত। শেষ বেলায় তাকে বেশ দারুণ সঙ্গ দেন জাকের আলী অনিক। আলোকসল্পতায় দিনের খেলা শেষ হবার আগে ৪ ওভারে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ১১২ রানে এগিয়ে আছে শান্ত বাহিনী। ব্যাট হাতে ৬০ রানে অপরাজিত আছেন অধিনায়ক শান্ত ও জাকের আলীর রান ২১।