ওয়ানডে সিরিজের কথা থাকলেও আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে বিসিবি ও পিসিবি উভয়ের সম্মতিক্রমে পরিবর্তন এসেছে ম্যাচের ধরনে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যকার লড়াই হবে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে। তবে ঠিক কবে নাগাদ পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজ মাঠে গড়াবে তা জানা না গেলেও সম্ভাব্য সময়সূচি প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় এক গণমাধ্যম।
আরও পড়ুন: মোহামেডান-আবাহনীর জয়ে দিনে জিতেছে গুলশানও
আগামী জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে পাকিস্তান জাতীয় দলের। এর আগেই অবশ্য পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দল যাবে পাকিস্তানে। আগামী মে মাসের শেষের দিকে শান্ত-লিটনদের এই সফর হবার কথা রয়েছে।

এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই সিরিজের একটিরও সময়সূচি প্রকাশিত হয়নি। তবে এরই মাঝে বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফরের সম্ভাব্য সময়সূচি প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। মে মাসের শেষের দিকে শুরু হয়ে জুনের শুরু পর্যন্ত এই সিরিজ চলবে বলে সূত্রের বরাত দিয়ে এই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ট্রিবিউনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায় ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ আয়োজনের চিন্তা করছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। প্রায় ১৭ বছর ধরে এই মাঠে আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচ আয়োজন করেনি পিসিবি। সবশেষ ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কোনো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে এই মাঠে, যেখানে স্বাগতিক পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ ছিলো এই বাংলাদেশই।

পিসিবির করা প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৫ ও ২৭ মে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হবে ফয়সালাবাদের এই মাঠে। বাকি তিন ম্যাচের জন্য দুদল চলে যাবে লাহোরে। সেখানকার গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ৩০ মে এবং ১ ও ২ জুন বাকি থাকা তিন ম্যাচ খেলবে এই দুই দল। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের বিশ্বস্ত এক সূত্রের এক বরাত দিয়ে সিরিজের সময়সূচি প্রকাশিত হলেও এটাই চূড়ান্ত সূচি কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যাওয়া সোহেল শঙ্কামুক্ত
এদিকে পাকিস্তানের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলা এই দুদল আবারো একে অপরের মুখোমুখি হবে জুলাইয়ে। দেশের মাটিতে বাবর-রিজওয়ানদের আতিথেয়তা দিবে শান্ত-লিটনরা। এফটিপির বাইরে হতে যাওয়া এই সিরিজ সম্পর্কে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চলাকালে আলোচনা করেছিলেন বিসিবি ও পিসিবি সভাপতি।