বৃহস্পতিবার, জুন ২৬, ২০২৫
সামি'স কর্নার

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অতীত পরিসংখ্যান কথা বলছে টাইগারদের পক্ষে

বিশ্ব ক্রিকেটে আগের সেই আধিপত্যটা নেই জিম্বাবুয়ের। ফ্লাওয়ার ব্রাদার, হিথ স্ট্রিক, অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলদের নিয়ে গড়া শক্তিশালী জিম্বাবুয়ে ক্রমশই পরিণত হচ্ছে দূর্বল দলের। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে তাই শক্তিমাত্রায় কিছুটা পিছিয়েই থাকিবে দলটি। সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্সও বলছে একই কথা। যদিও লাল বলের এই খেলায় ছন্দে নেই টাইগাররা, তবে জিম্বাবুয়ের অবস্থাও বলা যায় করুণ। শেষবারের মতো এই ফরম্যাটে তারা ম্যাচ জিতেছে সেই ২০২১ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

দুদলের মধ্যে লড়াইয়েও এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। টাইগারদের ৮ টি জয়ের বিপরীতে জিম্বাবুয়ে জিতেছে সাতটি ম্যাচ। ১৮ বারের লড়াইয়ে বাকি তিন ম্যাচ শেষ হয়েছে কোনো নিষ্পত্তি ছাড়াই। দুদলের মধ্যে লাল বলে সর্বশেষ দেখা হয়েছে ২০২১ সালে। জিম্বাবুয়ের মাটিতে সেই টেস্ট সিরিজেও বিজয়ের হাসি হেসেছে বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন: রেকর্ড বেতনে ইউরোপ সেরা ভ্যান ডাইক, বিশ্বে কে?

এদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ ২০১৮ সালে টেস্ট জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হওয়া সিরিজের প্রথম সেই ম্যাচে টাইগারদের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছিলো হ্যামিল্টন মাসাকাদজা-শন উইলিয়ামসরা। বাংলাদেশের মাটিতে অবশ্য এমন সুখস্মৃতি খুব কমই আছে জিম্বাবুয়ের। নিজেদের ঘরের মাঠে দশ টেস্টের মধ্যে ৬টি ম্যাচই জিতেছে লাল-সবুজেরা, এছাড়া জিম্বাবুয়ে জিতেছে দুই ম্যাচ এ বাকি দুই ম্যাচ ড্র হয়েছে।

দুদলের মধ্যকার লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি রান এসেছে ব্রেন্ডন টেইলরের ব্যাট থেকে। ১২ টেস্ট খেলে ৬১.৯৫ গড়ে তার সংগ্রহ ১২৩৯ রান। সেঞ্চুরির বিচারেও সবার থেকে এগিয়ে টেইলর, হাঁকিয়েছেন মোট ৫ টি শতক। ৮৮৩ রান নিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় দুইয়ে অবস্থান হ্যামিল্টন মাসাকাদজার। অবশ্য এই দুইজনের কেউই থাকছেন না এবারের সিরিজে।

এবারের সিরিজে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান এসেছে মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে। ১৮ ইনিংসে ৫৭ এর উপর গড়ে মুশির ব্যাট থেকে এসেছে ৮৫৭ রান। দুদলের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ ২১৯ রানের ইনিংসটিও খেলেছেন এই মুশফিকই।

এদিকে বোলারদের তালিকায় শীর্ষস্থানটা রয়েছে তাইজুল ইসলামের দখলে। ১২ ইনিংসে এই বাহাতি স্পিনারের ঝুলিতে আছে ৪১টি উইকেট। চারবার এক ইনিংসে ফাইফার আছে তাইজুলের। সেই সাথে ম্যাচে দশ উইকেট নেওয়ার কীর্তিও আছে একবার। তাইজুলের পরেই অবস্থান সাকিবের। টাইগার এই অলরাউন্ডার শিকার করেছেন ৩১ টি উইকেট। তাইজুলের মতো সাকিবও ম্যাচে দশ উইকেট নিয়েছেন একবার ও ইনিংসে ফাইফার তুলেছেন তিনবার।

দুদলের মধ্যকার লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় ইনিংসের মালিক বাংলাদেশ। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ৬ উইকেটে ৫৬০ রান তুলেছিলো টাইগাররা। সর্বোচ্চ রানের মতো সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডেও উপরেই আছে লাল-সবুজেরা। তবে সেটি অবশ্য প্রায় দুই যুগ আগের ঘটনা। ২০০১ সালের নভেম্বরে ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০৭ রানে অলআউট হয়েছিল নাইমুর রহমানের নেতৃত্বাধীন দল।

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর