টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম দুই আসরে খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেও ২০২৩-২৫ সাইকেলে কিছুটা উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। ১২ ম্যচের মধ্যে জিতেছে চারটি ম্যাচে। তার মধ্যে তিনটি জয় এসেছে বিদেশের মাটিতে। মাঠের খেলায় আগের দুই আসর থেকে উন্নতি করায় এবার বেশ মোটা অঙ্কের টাকাও পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চার ম্যাচ জিতেই প্রায় নয় কোটি টাকার প্রাইজমানি পেলো শান্ত-মিরাজরা।
আরও পড়ুন: সাবিনা-মনিকাদের গোলবন্যায় ২৮ গোলের জয় পারো এফসির
গত দুই আসরে একেবারে তলানিতে থেকে শেষ করা বাংলাদেশ এবার পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান করছে সপ্তম স্থানে। আর তাতেই প্রায় নয় কোটি টাকা জিতে নিয়েছে লাল-সবুজেরা। এবারের আসরের ফাইনালকে সামনে রেখে বিপুল অর্থ পুরষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে আইসিসি। প্রতিটি স্তরেই বেড়েছে প্রাইজমানির সংখ্যা। আর তাতেই কপাল খুলেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের গত দুই আসরে নয় দলের জন্য প্রাইজমানি ছিলো ৩৮ লাখ মার্কিন ডলার। তবে এবার ২০২৩-২৫ সাইকেলের জন্য এই পুরষ্কার বেড়েছে তিনগুণ। নয় দলকে এবার মোট ১ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার অর্থমূল্য পুরষ্কার হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
আরও পড়ুন: পিএসএলের দল ছাড়াই মাঠে গড়াবে গ্লোবাল সুপার লিগ
১২ ম্যাচের মধ্যে চারটিতে জিতে ৩১.২৫ শতাংশ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। যার ফলে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের উপরে থেকেই আসর শেষ করতে পেরেছে শান্ত-মিরাজরা। গত দুই আসরে সপ্তম, অষ্টম ও নবম স্থানে থাকা দলগুলোর জন্য সমান ১ লাখ মার্কিন ডলার অর্থমূল্যের ব্যবস্থা থাকলেও এবার প্রতিটি পজিশনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্রাইজমানির ব্যবস্থা করেছে আইসিসি। সপ্তম হওয়ায় এবার বাংলাদেশ জিতেছে ৭ লাখ ২০ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা কিনা ৮ কোটি ৭৫ লাখেরও বেশি। তাছাড়া গতবারের তুলনায় যা কিনা প্রায় সাত গুণেরও বেশি।
এদিকে এবারই চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলের জন্য রাখা হয়েছে সর্বোচ্চ ৩৬ লাখ মার্কিন ডলারের পুরষ্কার। রানার্সআপ দলের পকেটে ঢুকবে ২১ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া তৃতীয় হবার সুবাদে ভারত পাচ্ছে বাংলাদেশের দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ, ১৪ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। চতুর্থ হওয়া নিউজিল্যান্ড পাচ্ছে ১২ লাখ ডলার। এছাড়া পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে থাকা ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা জিতেছে যথাক্রমে ৯ লাখ ৬০ হাজার ও ৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের নিচে অবস্থান করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছে ৬ লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়া টেবিলের তলানিতে তবাকা পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।