সিলেটের উইকেট ছিল ব্যাটিংয়ের জন্য তুলনামূলক সহজ। উইকেটে থিতুও হয়েছিলেন মুমিনুল হক। তবু মাঝপথেই থেমে যেতে হলো। ৪৭ রানে থামতে হয়েছে, মাত্র ৩ রান দূরে থেকে ফিফটি দেখা হয়নি তার। দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে স্পষ্টই বললেন— এই ইনিংস তার কাছ থেকে যথেষ্ট ছিল না।
“৫ দিন হয়ত প্রস্তুতি নিয়েছি। কিন্তু, ইনিংসটা আরও বড় হওয়া উচিত ছিল। এক-দুই সেশন টিকে ছিলাম ঠিকই, কিন্তু তিন-চার সেশন ব্যাটিং করতে পারলে দলের অবস্থান অনেক মজবুত হতো, সিনিয়র হিসেবে এভাবে আউট হওয়া কাম্য না”— আক্ষেপ মুমিনুলের কণ্ঠে।
আরও পড়ুন: ৩০০ রানের লিডের স্বপ্ন দেখছে টাইগাররা
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের লিড ১১২ রানের, হাতে ৬ উইকেট। ব্যাটিং করছেন শান্ত ও জাকের, তবে ইনিংসের মাঝপথে মুমিনুলের বিদায় যেন ছন্দপতনের ইঙ্গিত। তিনি নিজেও জানেন, এই সময়টায় একজন অভিজ্ঞ ব্যাটারের টিকে থাকাটাই ছিল দলের চাওয়া।
তবে আশাবাদী মনোভাবও লুকাননি মুমিনুল। টেইলএন্ডারদের ব্যাটিং সামর্থ্য নিয়ে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। “টেইলএন্ডাররা ব্যাটিং পারে, এটা তো প্লাস পয়েন্ট। কিন্তু ওদের উপর নির্ভরশীল থাকা যায় না। উপরের দিকের ব্যাটাররাই রান করবে, এরপর নিচের দিক থেকে যদি ৫০ রানও আসে, সেটা ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিতে পারে।”
ব্যক্তিগত ব্যর্থতা ও টপ অর্ডারের অসঙ্গতির প্রসঙ্গে স্পষ্ট স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তিনি, “আমি বা জয় যখন সেট হয়ে আউট হই, দায় আমাদেরই। যাদের ইনিংস শুরুতেই শেষ হয়, তাদের নিয়ে কিছু বলার নেই। কিন্তু আমরা যারা থিতু হয়ে গিয়েছিলাম, আমাদেরকেই দলের হাল ধরতে হতো।”
আরও পড়ুন: হৃদয়ের দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার কথা জানতেন না রনি
এক্সট্রা বাউন্স নিয়ে প্রশ্নে মুমিনুল বলেন, “শর্ট বল আর এক্সট্রা বাউন্সের মধ্যে পার্থক্য আছে। ব্লেসিং মুজারাবানি যেভাবে বাউন্স পাচ্ছে, সেটা মোকাবিলা করা কঠিন। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এগুলোই চ্যালেঞ্জ, ব্যাটার হিসেবে আপনাকে সমাধান খুঁজতে হবে।”
তবে দিনের শেষে মুমিনুলের চোখে ভাসে শুধু নিজের সেই ফেলে আসা সুযোগটা, যেটা কাজে লাগাতে পারলে ম্যাচের ছবিই হতে পারত ভিন্ন, “সেট হয়ে গেলে আমার কাজই ছিল টিকে থাকা। আমি সেটা করতে পারিনি। এটাই সবচেয়ে বেশি পোড়াচ্ছে।”