বৃষ্টি বাধায় শেষ পর্যন্ত শঙ্কাটাই সত্যি হলো। চতুর্থ দিনে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলকে অলআউট করতে পারলেও শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে। আর এই ড্রয়ে সিরিজটাও হাতছাড়া হলো নুরুল হাসান সোহানের দলের। সাদা বলে কিউইদের কোনঠাসা করলেও লাল বলে এসে সিরিজ হারতে হলো ১-০ শুন্য ব্যবধানে।
আরও পড়ুন: সাকিবে মুগ্ধ লাহোর মালিক, প্রশংসায় ভেসেছে মিরাজ-রিশাদও
মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট আগে ব্যাট করতে নেমে তিন ব্যাটারের অর্ধশতকে ৩৫৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ওপেনিং জুটিতে ১৩০ রানের দুর্দান্ত পার্টনারশিপ করেন মোহাম্মদ নাইম ও এনামুল হক বিজয়। বিজয় অবশ্য দুই রানের জন্য অর্ধশতক মিস করলেও নাইম ঠিকই তুলে নেন অর্ধশতক। আউট হবার আগে খেলেন ৮২ রানের ইনিংস।

ওয়ানডাউনে নেমে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন সাইফ হাসান। এরপর অমিতা হাসানের ৬৭ ও নুরুল হাসান সোহানের ৪০ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ৩৫৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ ‘এ’। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন বেন লিস্টার ও জেডেন লেনক্স।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য যা দরকার তাই করবো: রিশাদ
প্রথম ইনিংসে অবশ্য শেষ পর্যন্ত লিড নিতে পারেনি স্বাগতিকেরা। টপ অর্ডারের দৃঢ়তায় ৩৭৯ রান তুলে ফেলে সফরকারীরা। অর্ধশতকের দেখা পান কার্টিস হেফি, জো কার্টার ও ম্যাথিউ বয়েল। এছাড়া সেঞ্চুরি হাঁকান টপ অর্ডার ব্যাটার নিক কেলি। ইনিংসের সপ্তম ওভারেউ মারিউকে বিদায় করে দারুণ শুরুর আভাস দিচ্ছিলেন খালেদ। তবে এরপরই ম্যাচের লাগাম টেনে ধরে সফরকারীরা।

জো কার্টার ও কার্টিস হেফির ১০৫ রানে ভর করে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে নেয় কিউইরা। যদিও ৪৭ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরার আভাস দিচ্ছিলো বাংলাদেশ। তবে ম্যাথিউ বয়েল ও নিক কেলির ১২৩ রানের জুটিতে ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়। শেষ পর্যন্ত ৩৭৯ রানে গিয়ে থামে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের ইনিংস। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট তুলে নেন নাইম হাসান। এছাড়া তিনটি উইকেট পেয়েছেন খালেদ আহমেদ।
আরও পড়ুন: সাদা পোষাকে ভারতের নতুন অধিনায়ক শুবমান গিল
২২ রানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ ও শেষ দিনে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ২৪ ওভার ব্যাট করে দুই উইকেট হারিয়ে ৮৭ রান তুললে ম্যাচটি সমতায় শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন দুই অধিনায়ক। ফলে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ হারতে হলো বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে।