টপ অর্ডারে অধিনায়ক সালমান আলি আগার দুর্দান্ত অর্ধশতকের পর শেষ দিকে শাদাব খানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে স্বাগতিক পাকিস্তান।
লাহোরে এদিন টসভাগ্যটা জিততে পারেননি বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রতিটি ম্যাচেই লিটনের টস ভাগ্যে জুটেছিলো হার। এবার পাকিস্তানের সাথে প্রথম ম্যাচেও একই চিত্র। টস হারলেও ইনিংসের শুরুটা অবশ্য দুর্দান্ত করে লিটনের দল। আগে বল করতে নেমে প্রথম আট বলের মধ্যেই বিদায় করে প্রতিপক্ষের দুই ওপেনারকে।
আরও পড়ুন: আবারও টসে হার, ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
প্রথম ওভারেই শেখ মেহেদী হাসানের শিকার হয়ে বিদায় নেন সাইম আইয়ুব। নিজের খেলা প্রথম বলেই মেহেদীর হাতেই ক্যাচ তুলে দেন এই পাকিস্তানি ব্যাটার। পরের ওভারে আরেক ওপেনার ফখর জামানকে বিদায় করেন শরীফুল। এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে প্যাভিলিয়নের পথে হাটতে হয় ফখরকে। ৫ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া স্বাগতিকদের আশার আলো দেখান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও মোহাম্মদ হারিস। দুজনে মিলে দলের খাতায় যোগ করেন ৪৮ রান।
পাওয়ার প্লে শেষ হতেই আবারো আঘাত হানে টাইগাররা। তানজিম সাকিবের শিকার হয়ে বিদায় নেন মোহাম্মদ হারিস। ১ ছক্কা ও ৪ চারে হারিসের ব্যাটে আসে ১৮ বলে ৩১ রান। হারিসের বিদায়ের পর সালমান আগার ব্যাটে ঘুরতে থাকে পাকিস্তানের রানের চাকা। ২৯ বলে পৌঁছে যান ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতকেও। সালমানের সাথে অন্যপ্রান্তে দাঁড়িয়ে রানের ফুলঝুরি ঝড়াচ্ছিলেন পিএসএলে দুর্দান্তে ছন্দে থাকা হাসান নেওয়াজও।
আরও পড়ুন: হামজা-শমিত ও ফাহমিদুলকে রেখেই বাংলাদেশের স্কোয়াড ঘোষণা
বারোতম ওভারের শেষ বলে অবশ্য বিদায় নেন সালমান। হাসান মাহমুদের বলে বিদায় নেওয়ার আগে তার ব্যাটে আসে ৩৪ বলে ৫৬ রান। সালমানের বিদায়ের পর হাসান নেওয়াজও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। রিশাদের বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দেন নেওয়াজ। শেষ হয় তার ২২ বলে ৪৪ রানের ইনিংস। খেই হারিয়ে ফেলা স্বাগতিকদের উপর চাপটা বজায় রাখে টাইগাররা। শামীমের বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন খুশদিল শাহ।
সফরকারীদের এই চাপ সামলে অবশ্য দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান অলরাউন্ডার শাদাব খান। শেষ দিকে তার ঝড়ো ইনিংসে রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান। টাইগারদের হয়ে এদিন উইকেটের দেখা পেয়েছেন সব বোলাররাই। তবে এদিন সিব ফ্রন্টলাইন বোলারদের ছাপিয়ে নজর কেড়েছেন শামীম হোসেন পাটওয়ারি। চার ওভার বলে তো করেছেনই সাথে ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন বাকি সব বোলার থেকে কম। ৭.৭৫ ইকোনমিতে ৩১ রান খরচায় এক উইকেট তুকেছেন এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার ।