বৃহস্পতিবার, জুন ২৬, ২০২৫
সামি'স কর্নার

সভাপতির দায়িত্বে কোনো টাইমফ্রেম নেই বুলবুলের, নিচ্ছেন না সম্মানি

বেশ নাটকীয়তার পর অবশেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব থেকে ফারুক আহমেদকে সরানো হয়েছে। শুক্রবার (৩০ মে) ফারুকের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন দেশের টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল। অবশ্য মে মাসের একেবারে অন্তিম মুহূর্তে দায়িত্ব পেলেও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে প্রস্তাব এপ্রিলেই পেয়ে গিয়েছিলেন বুলবুল। তবে এই দায়িত্ব স্বল্প সময়ের জন্যই যে সীমাবদ্ধ থাকবে এটা মানতে নারাজ বুলবুল। বরং প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করেই বিসিবিতে কাজ করতে চান তিনি।

আরও পড়ুন: ‘ক্রিকেট ইন বাংলাদেশ’ গড়ার মিশনে বুলবুল

মিরপুরে বোর্ড সভাপতি হবার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বুলবুল বলেন, “আমি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে কখনও আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নেইনি। একটা সময়ের পর আমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছিল। গত ১৮-১৯ বছর ধরে আমি আইসিসি এবং এসিসির হয়ে ক্রিকেট উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছি। এতদিন অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করতেন—‘আপনাকে বাংলাদেশে ডাকা হয় না কেন?’ ‘আপনি কি সুযোগ পেলে আসবেন?’ আমি তাদের বলতাম, আমি অপেক্ষায় আছি। সত্যি বলতে গত এপ্রিল মাসের শেষ দিকে আমি একটি ফোন কল পাই আমাদের জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে। ফোনে আমাকে বলা হয়, ‘আপনাকে একটি দায়িত্ব দেয়া হতে পারে, আপনি কি তা গ্রহণ করবেন?’”

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে বুলবুলকে সরাসরি ফোন করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তার কাছ থেকে এই প্রস্তাব পেয়ে সাথে সাথেই রাজি হয়ে যান বুলবুল। তিনি বলেন, “আমি সবসময়ই এই ডাকের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তাই যখন সেই কলটা এলো, তখন আর পিছনে তাকাইনি। আমার লক্ষ্য ছিল এই সুযোগটাকে সর্বোচ্চ সম্মান জানানো, দেশের ক্রিকেটকে কিছু ফেরত দেওয়া। পর্যায়ক্রমে, আজ ৩০ মে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সম্মানিত পরিচালকরা আমাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছেন। এই কলটি আমি পেয়েছিলাম আমাদের ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছ থেকে, যিনি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে ফোন করে দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। আমি গর্বিত ও কৃতজ্ঞ যে, তিনি আমাকে উপযুক্ত মনে করেছেন।”

আরও পড়ুন: ঢাকাকেন্দ্রিকতা ভেঙে তৃণমূলেই নজর বুলবুলের

গুঞ্জন রয়েছে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত বিসিবির দায়িত্বে থাকবেন বুলবুল। তবে তিনি মনে করেন দেশের যতদিন প্রয়োজন ততদিন এই পদে তিনি কাজ করবেন। তিনি বলেন, “আমার কাছে মনে হয় যে, আমাকে আজকে ক্রিকেট বোর্ডের তিন মাসের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করা হয়নি। আপনারা জানেন যে, এর আগে আমি চাকরি করতাম আইসিসিতে এবং আমি তাদের কাছে অনেক কৃতজ্ঞ, যে আমি সেখানে অনেক ম্যানেজমেন্টের কাজ শিখেছি। তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ এবং তারা নিজ খুশিতে আমাকে বলেছে, ‘তোমার নিজ দেশের হয়ে কাজ করা উচিত’। এখানে আমার কাছে আইসিসির সাথে কোনো দুই মাস বা তিন মাসের কোনো চুক্তি নেই। আমি প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে এখানে কাজ করব এবং সেটাতে অবশ্যই কোনো টাইম ফ্রেম নেই।”

এদিকে বুলবুলের সভাপতি দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। সভাপতি হিসেবে কোনো সম্মানি পাবার বিধান না থাকলেও বুলবুলের জন্য থাকছে বিশেষ সম্মানি। যদিও বুলবুলের দাবি এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা। বুলবুল জানান, “আজকে সকালেই দেখলাম একটা নিউজ দেখলাম, আমি প্রথম প্রেসিডেন্ট যে কিনা ১২ লক্ষ টাকা বেতন নিয়ে কাজ করছি। তো এগুলো একেবারেই অসত্য কথা। তারপরেও এসেছে যে আমি নাকি সিইও হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি বা সেখানে একটা নাম্বারও বলা হয়েছে। এগুলো একেবারেই সত্য কথা না। কোনো ফোরামেই আমার সাথে কারো এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়নি। তো এরকম আসবে। তবে আমি আশা করব, যারা এই কাজগুলো করছে, আমার মনে হয় তারা এগুলো করবে না।”

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর