গত ২৮ এপ্রিল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ইমার্জিং বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিংয়ের মধ্যক্র ম্যাচে মাঠের ভেতরেই ঘটে গেল এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা। দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের অফ স্পিনার শেপো এনতুলি নিজের মেজাজ হারিয় বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বাংলাদেশের পেসার রিপন মণ্ডলের সঙ্গে। এক পর্যায়ে রিপনের হেলমেট ধরে দু’বার টান দেন এনতুলি। আকস্মিক এই ঘটনার পেছনে মূল কারণ তৎক্ষণাৎ জানা না গেলেও দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক সমকালের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন পরিস্থিতির পেছনের ঘটনা।
আরও পড়ুন: ফারুকের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন বুলবুল
বুধবার (২৮ এপ্রিল)-এর এই ঘটনা সরাসরি সম্প্রচার হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে ভিডিওটি। সেই ভিডিও দেখে এনতুলির দিকেই আঙুল তুলেছে সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হবার পেছনের কারণ জানা ছিলো না কারোই। এদিন দলীয় ১০৫তম ওভারে নিজের করা প্রথম বলেই ছক্কা খান এনতুলি। এরপর হতাশ হয়ে ইংরেজিতে একটি শব্দ বলেন তিনি, যেটি কিনা সাধারণত ইংরেজিভাষী খেলোয়াড়েরা নিজেদের উপর রেগে গিয়ে ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু রিপন সেটিকে গালি ভেবে ভুল বোঝেন এবং পাল্টা মন্তব্য করে বসেন। ম্যাচ অফিসিয়াল ও টিম ম্যানেজমেন্টের বরাত দিয়ে দৈনিক সমকালের প্রতিবেদনে বলা হয়, রিপনের প্রতিউত্তের সাথে জড়িয়ে ছিলো এনতুলির বান্ধবীর কথা।

এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এনতুলি এগিয়ে এসে রিপনের হেলমেট ধরে টানাটানি করেন। আম্পায়ার মুহাম্মদ কামরুজ্জামান তাকে সরাতে এগিয়ে গেলে দক্ষিণ আফ্রিকার আরও দুই খেলোয়াড়, বিশেষ করে মিকা এল প্রিন্স রিপনের দিকে ধেয়ে যান এবং তাকে আঙুল তুলে শাসাতে থাকেন। পরে লেগ আম্পায়ার আরমো জ্যাকবস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আরও পড়ুন: ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ বিশ্বাস মুশতাকের
তিন বল পরে আরও একবার এই উত্তেজনা দেখা দেয়, আচমকা বল ছুঁড়ে মারেন রিপনের দিকে। বলটি ব্যাট দিয়ে ঠেকাতে না পারলে বড় ধরনের আঘাত পেতে পারতেন রিপন। এরপর ব্যাট হাতে অবশ্য ঠিকই জবাব দেন রিপন, হাঁকান দুটি চার ও একটি ছক্কা। তবে শেষ পর্যন্ত এনতুলির বলেই স্টাম্পড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। তার ৮১ বলে ৪৩ রানে ভর করে ৩৭১ সংগ্রহ করে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল।

এদিকে এই ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে রিপন বলেন, “ওর বলে কেউ ছয় মারলেই ও খারাপ ব্যবহার করে। আগেও এমন করেছে।” ম্যাচ রেফারি সেলিম শাহেদ জানান, আম্পায়ারদের রিপোর্ট হাতে পেলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে। যেহেতু এটি সিরিজের শেষ ম্যাচ, তাই এখনই কোনো শাস্তি কার্যকর করা সম্ভব নয়। দুই দলের ক্রিকেট বোর্ডের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হবে, তারা ব্যবস্থা নেবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগেও রাজশাহীতে ওয়ানডে ম্যাচে দুই দলের মধ্যে উত্তেজনা দেখা গিয়েছিল। তখন আচরণজনিত কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার আনদিলে সিমেলানে ও বাংলাদেশের জিসান আলম এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়।