বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিল দুদেশের মধ্যকার এই টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ভারত-পাকিস্তানের চলমান রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং পাকিস্তান সুপার লিগের মাঝপথে স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর আদৌ সিরিজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে কি না তা নিয়েও দেখা দিয়েছিল ধোয়াশা। তবে সব জটিলতা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত দুই বোর্ডের সমঝোতায় সফরটি নিশ্চিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাবরের বিশ্ব একাদশে নেই কোনো বাংলাদেশি
দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এক দীর্ঘ বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তারা। আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন পিসিবি চেয়ারম্যান মোহসিন নকভি, বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ও বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। এই আলোচনাতেই চূড়ান্ত হয় সফরের সময়সূচি এবং ম্যাচের ভেন্যু।

নতুন সূচি অনুযায়ী, বাংলাদেশ দল পাকিস্তানে তিনটি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে। সিরিজের প্রতিটি ম্যাচই হবে লাহোরে। পূর্ব পরিকল্পনায় ছিল পাঁচ ম্যাচের সিরিজ, যার ম্যাচগুলো হতো ফয়সালাবাদ ও লাহোরে। বাংলাদেশ দল দুই ভাগে পাকিস্তানে যেত ২১ মে, এবং সিরিজ শুরু হতো ২৫ মে থেকে। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত ও লজিস্টিক কিছু সীমাবদ্ধতা থাকায় সেই পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে হয়। ফলে ম্যাচের সংখ্যা কমে আসে এবং ভেন্যু হিসেবে ঠিক করা হয় শুধুমাত্র লাহোর।
আরও পড়ুন: বিসিবির কাছে পরিষ্কার জবাব চেয়ে রুমানার বার্তা
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, “পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে আলোচনা সফল হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল পাকিস্তান সফরে এসে একটি সিরিজ খেলবে। পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক নাজমুল আবেদীন ও সভাপতি ফারুক আহমেদের মধ্যে দীর্ঘ বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সবগুলো ম্যাচই হবে লাহোরে। পিসিবি চেয়ারম্যান মোহসিন নকভি সফর চূড়ান্ত করায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও সভাপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।”
পাকিস্তান সিরিজের আগে বাংলাদেশ দল অবস্থান করছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানে স্বাগতিকদের সাথে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা ছিলো টাইগারদের। যদিও পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে কোনো নিশ্চিত সিদ্ধান্ত না আসায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে এক ম্যাচ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলো বিসিবি। সেই প্রস্তাবে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড রাজি হওয়ায় এখন অতিরিক্ত আরো একটি ম্যাচ খেলবে শান্তর দল। সিরিজের প্রথম ম্যাচে টাইগাররা জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য জয় পেয়েছে আমিরাত। ফলে তৃতীয় ম্যাচেই কার্যত সিরিজের ভাগ্য নির্ধারণ হবে।