ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের কাছে প্রথম টেস্টে হার, সিলেটে গ্যালারিতেও দেখা গিয়েছিল দর্শকশূন্যতা। সব মিলিয়ে এ যেন ভাটা পড়েছে ক্রিকেটে। বলা যায়, সিলেট টেস্টের পুরোটা সময়ই ছিল নিস্তরঙ্গ।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের পর এ নিয়ে হতাশা গোপন করেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। স্বীকার করে নিয়েছিলেন, সাম্প্রতিক ব্যর্থতা খেলোয়াড়দের মূল্যায়ন এবং গ্রহণযোগ্যতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। শান্তর উপলব্ধি, যখন পারফরম্যান্সে ভাটা পড়ে, তখন স্বীকৃতির জায়গাটাও সংকুচিত হয়। তবে তার বিশ্বাস, ফর্ম ফিরলেই আবার সম্মানও ফিরবে।
এদিকে দ্বিতীয় টেস্ট সামনে রেখে শনিবার (২৬ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন টাইগার ব্যাটার জাকের আলী অনিক। দলের বর্তমান অবস্থা নিয়ে সোজাসাপ্টা মন্তব্য তার, ‘ভালো খেলার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের সবার লক্ষ্য এখন মাঠে নৈপুণ্য দেখানো।’
আরও পড়ুন: পিএসএল যাত্রার আগে নাহিদ জানালেন, লড়াইটা নিজের সাথেই

বাংলাদেশের ক্রিকেট কি পতনের দিকে? এমন প্রশ্নের জবাবে তরুণ এই উইকেটরক্ষকের জবাব, সময়ের দাবি মেনে পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় প্রয়োজন। তার ভাষায়, ‘সিনিয়ররা একে একে সরে যাচ্ছেন। তরুণদের মানিয়ে নিতে সময় লাগবে। তবে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।’
সিলেট টেস্টে ব্যর্থতার মূল কারণ হিসেবে জাকের ব্যাটিং ইউনিটের দায়িত্বহীনতার দিকেই আঙুল তুললেন। তিনি মনে করেন, দলীয় প্রক্রিয়ায় অটল থাকলেও ব্যাটিং ব্যর্থতাই দলের পতনের প্রধান কারণ। জাকের বলেন, ‘খেলার ধারা ঠিক রাখতে হবে, প্রতিপক্ষ যেই হোক। ব্যাটিং ঠিক না হলে সংগ্রাম করতে হয়। শট নির্বাচন আরও ভালো করা দরকার।’
আরও পড়ুন: ২৫০ কোটি টাকা আর্থিক লেনদেন নিয়ে ব্যাখ্যা দিল বিসিবি

বিশেষ করে তুলনামূলক দুর্বল দলের বিপক্ষেও ব্যর্থতার প্রসঙ্গে জাকের সরল স্বীকারোক্তি, ‘ভুলের কারণেই হার। প্রথম টেস্টের পর আমাদের ভেতরে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। এখন লক্ষ্য, যেন ব্যাটিং বিভাগ শক্ত করে ফেরা যায়। কারণ বেশিরভাগ ম্যাচেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণেই সংগ্রাম করতে হয়।’
আগামী সোমবার (২৮ এপ্রিল) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ টেস্টে মুখোমুখি হবে এই দুই দল। যেখানে সিরিজে সমতা ফেরাতে জয়ের বিকল্প নেই টাইগারদের সামনে।