বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির সদ্য সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেছেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) সম্প্রতি বিসিবিতে তার পরিচালক পদের মনোনয়ন বাতিল করে ওই পদে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে মনোনীত করেছে। ফারুক আহমেদ এই সিদ্ধান্তকে আইনি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রোববার (১ জুন) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফারুকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস।
আরও পড়ুন: তানজিদ-ইমনের শতরানের জুটিতে বাংলাদেশের পুঁজি ১৯৬
ফারুক আহমেদের পক্ষে আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস প্রথম আলোকে জানান, রিটের ওপর আগামী সোমবার (২ জুন) আদালতের শুনানি হতে পারে। রিটে বলা হয়েছে, গত ২৯ মে ও ৩০ মে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে ফারুক আহমেদের মনোনয়ন বাতিল এবং আমিনুল ইসলামকে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে যে দুইটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা আইনগত কর্তৃত্বের বাইরে। কেন এই সিদ্ধান্তগুলো বাতিল ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়ে রুল জারির আবেদন ওই রিটে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তগুলোর কার্যকারিতা স্থগিত রাখারও আবেদন করা হয়েছে। রিটে যুব ও ক্রীড়া সচিব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডসহ মোট পাঁচজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
২০২৩ সালের ৫ আগস্ট, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতচ্যত হওয়ার পর বিসিবির পরিচালকের পদ শূন্য হয়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে তৎকালীন পরিচালক জালাল ইউনুস ও সাজ্জাদুল আলমের স্থানে ফারুক আহমেদ ও নাজমূল আবেদীনকে বিসিবির পরিচালক হিসেবে মনোনীত করা হয়। পরে পরিচালকদের ভোটে ফারুক আহমেদ বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: বিশাল হারের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে জরিমানা
তবে মাত্র নয় মাসের মাথায়, এবছরের ২৯ মে, ফারুক আহমেদের মনোনয়ন বাতিল করে এনএসসি। পরদিন ৩০ মে নতুন করে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে বিসিবি পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। একই সাথে বিসিবির বাকি পরিচালকদের ভোটে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে বোর্ডের সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এদিকে গত শনিবার (৩১ মে) ফারুক আহমেদকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। তিনি জানান কোনো ধরনের দুর্নীতির অভিযোগে নয়, বরং পারফরম্যান্স খারাপ হওয়ার কারণেই ফারুক আহমেদকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।