নতুন বিসিবি সভাপতির অধীনে গতকাল শনিবার (৩১ মে) অনুষ্ঠিত হয়েছে বোর্ড সভা। সেখানেই আলোচনায় উঠে এসেছে বিপিএলের নানা আর্থিক অনিয়ম ও লভ্যাংশ বণ্টনের বিষয়টি। এছাড়াও নতুন চীফ ফিনান্সিয়াল অফিসার নিয়োগ ও এইচআর ডিভিশন ঢেলে সাজানোর ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে এই সভায়।
আরও পড়ুন: ইন্টারকে উড়িয়ে মিউনিখে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলো পিএসজি
সবশেষ বিপিএলে খেলোয়াড়দের বেতন দেওয়া থেকে শুরু করে আর্থিক বিষয়ে নানা অনিয়মের চিত্র সামনে উঠে আসে। বিশেষ করে দলগুলোর ব্যাংক গ্যারান্টি সংক্রান্ত অস্পষ্টতা ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। নতুন সভাপতি বুলবুলের নেতৃত্বে এই বিষয়ে কাজ করবে ক্রিকেট বোর্ড। শনিবার (৩১ মে) বোর্ড সভা শেষে বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু গণমাধ্যমকে জানান এবারের বিপিএলে টিকিট বিক্রি থেকে আয় হয়েছে ১২ কোটি ৩৪ লাখ ৯০০ টাকা। তবে এ আয়ের বিপরীতে ব্যয়ও হয়েছে উল্লেখযোগ্য।
মিঠু বলেন, ‘টিকিট বিক্রির জন্য আমরা ই-টিকিটিং সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট চার্জেস, ভ্যাট এবং রেভিনিউ শেয়ার বাবদ বিভিন্ন খাতে ব্যয় করেছি। প্রথম চারটি দলের সঙ্গে শেয়ার করেছি ৫৫ লাখ টাকা এবং ৫, ৬, ৭ নম্বর দলের সঙ্গে ৪৫ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে টিকিট বিক্রির অর্থ থেকে আমাদের নেট আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।’
আরও পড়ুন: ‘এটা আমার জন্য শিক্ষা’, নিষেধাজ্ঞার পর মুখ খুললেন রাবাদা
তিনি আরও জানান, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর পাওনা ও বকেয়া পরিশোধ নিয়ে কাজ করছে ক্রিকেট বোর্ড। তিনি বলেন, “বরিশালের কোনো বকেয়া নেই, আর রংপুর কিছু অর্থ ঈদের আগেই পরিশোধ করেছে, বাকিটুকুও শীঘ্রই পরিশোধ হবে। রংপুর যখন ক্লিয়ার করে দেবে, তখন আমরা তাদের পেমেন্টটা দিয়ে দেবো। তবে রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রামের কিছু পাওনা এখনো বাকি আছে। কার কত বকেয়া আছে, সে কাগজ আপডেট করতে হবে। তারপর ঠিক করবো কার পাওনা আগে পরিশোধ করবো।’
বিসিবির আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে একজন চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি। মিঠু বলেন, ‘আমরা সিএফও নিয়োগের জন্য ইতোমধ্যেই বিজ্ঞাপন দিয়েছি। আশা করছি ঈদের পর তার ইন্টারভিউ নেওয়া সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: ফারুক আহমেদকে অপসারণের কারণ জানালেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বিসিবিকে আন্তর্জাতিক মানের একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সে প্রসঙ্গে মিঠু বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট মনে করছেন, বিশ্বমানের পর্যায়ে যেতে হলে আমাদের ক্রিকেট বোর্ডের কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। বিশেষ করে হিউম্যান রিসোর্স বিভাগকে ঢেলে সাজাতে হবে।’