পরিবর্তন এসেছে ক্রিকেটের বেশ কিছু নিয়মে। কনকাশন সাব থেকে শুরু করে ওয়ানডে ক্রিকেটে দুই বল দিয়ে খেলার নিয়মে এসেছে বেশ বড় পরিবর্তন। আসন্ন জুনে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার মধ্যকার টেস্ট ম্যাচ দিয়েই নতুন কনকাশন নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে আইসিসি। আর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে এই নিয়ম চালু করা হবে আগামী জুলাই মাস থেকে।
আরও পড়ুন: অভিনব পন্থায় আর্জেন্টিনার স্কোয়াড ঘোষণা, ফিরলেন মেসি
কনকাশন সাবের পূর্ববর্তী নিয়ম অনুযায়ী কোনো একজন খেলোয়াড়ের মাথায় বলের আঘাত লাগলে তার জায়গায় তার মতো কাউকে মাঠে নামানো যাবে। অর্থাৎ কোনো ব্যাটারের পরিবর্তে ব্যাটার কিংবা কোনো বোলারের পরিবর্তে বোলার। তবে এই নিয়ম নিয়ে বিপত্তি বাধে এবছরের শুরুতে হওয়া ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজে। যেখানে শিবম দুবের কনকাশন হিসেবে খেলানো হয় হার্ষিত রানাকে। আর সেটা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় টিম ইন্ডিয়াকে।
এরপরেই এবার কনকাশন বদলি নিয়মে এসেছে পরিবর্তন। এখন থেকে প্রতিটি দলকে ম্যাচ শুরুর আগে পাঁচজন কনকাশন বদলি খেলোয়াড়ের নাম দিতে হবে। সেই পাঁচজনের তালিকায় থাকবে একজন ব্যাটার, একজন পেসার, একজন স্পিনার, একজন অলরাউন্ডার এবং একজন উইকেটকিপার। কনকাশন সাবের প্রয়োজন পড়লে যেই খেলোয়াড়কে বদলি করা হবে সেই খেলোয়াড়ের প্লেয়িং স্টাইল যেই ক্যাটাগরিতে পড়বে সেখান থেকে খেলোয়াড় নিতে হবে।
আরও পড়ুন: সৌদিতে বেনজেমার মহাকাব্য, ডাবল ট্রফিতে স্বর্ণালী প্রত্যাবর্তন
তবে যদি সেই বদলি খেলোয়াড়দের কেউ আবার কনকাশনের শিকার হন, তাহলে বিশেষ পরিস্থিতিতে ম্যাচ রেফারি নতুন করে একজন বদলি খেলোয়াড় অনুমোদন করতে পারবেন। আর সেক্ষেত্রে আগের মতোই “লাইক ফর লাইক” মানে একই ধরণের খেলোয়াড়ের বদলে একই ধরণের খেলোয়াড় নেওয়ার নিয়ম কার্যকর থাকবে।
এছাড়াও ওয়ানডে ক্রিকেটে দুই বল দিয়ে খেলানোর নিয়মেও পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। এতদিন ধরে ওয়ানডে ম্যাচে প্রতি ইনিংসে দুটি নতুন বল ব্যবহার করা হতো। মানে, ইনিংসের একদিকে একটি বল, অন্যদিকে আরেকটি। এতে বল তাড়াতাড়ি পুরনো হতো না। যার ফলে সুইং বা রিভার্স সুইং দেখা যেত খুবই কম, আর স্পিনাররাও মাঝের ওভারে তেমন সুবিধা নিতে পারতেন না। কিন্তু এখন থেকে সেই নিয়ম বদলে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: লাল বলের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত হারিস রউফ
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচের প্রথম ৩৪ ওভার পর্যন্ত দুই বলেই খেলা হবে, যেমনটা আগে হতো। তবে ৩৪তম ওভারের পর, ৩৫তম ওভারে ঢোকার আগে ফিল্ডিং দল একটি বল বেছে নেবে। এরপর ম্যাচের বাকি ১৬ ওভারে শুধু সেই একটি বল দিয়েই খেলা চলবে। যে বলটি ৩৫ থেকে ৫০ ওভারে ব্যবহৃত হবে না, সেটি রাখা হবে “বিকল্প বল” হিসেবে। যদি কোনো সময় বল হারিয়ে যায় বা নষ্ট হয়, তখন সেই বল ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া যদি কোনো ওয়ানডে ম্যাচ বৃষ্টির কারণে ২৫ ওভারের কমে যায়, তাহলে শুরু থেকেই একটি নতুন বল ব্যবহার করা হবে।
আগামী ১৭ জুন থেকে গলে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার টেস্ট দিয়েই নতুন নিয়মগুলোর প্রয়োগ শুরু হবে। এছারা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির নতুন নিয়ম চালু হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সিরিজ থেকে। তবে জুনে ইংল্যান্ডের লর্ডসে শুরু হতে যাওয়া ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে আগের নিয়মই থাকবে।