বাংলাদেশের ক্রিকেট সূচিতে আসছে বড় পরিবর্তন। আগামী মে ও জুলাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে যে দুটি সিরিজ হওয়ার কথা, তা থেকে ওয়ানডে পুরোপুরি বাদ পড়তে চলেছে। মূলত ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দুই দলই বেশি করে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ম্যাচ খেলতে আগ্রহী। তাই দুই বোর্ডের সম্মতিতে ওয়ানডের বদলে দুই সিরিজ মিলিয়ে ৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।
আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে সেপ্টেম্বরে ভারতের মাটিতে বসবে এশিয়া কাপ, সেটিও হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে দলগুলো এখন টি-টোয়েন্টিতে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) পক্ষ থেকে ওয়ানডের বদলে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার প্রস্তাব আসলে, বিসিবিও এতে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।

সূচি অনুযায়ী, মে মাসে পাকিস্তানে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের। একইভাবে জুলাইয়ে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল পাকিস্তানের, যেখানে হওয়ার কথা ছিল তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। কিন্তু নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই দুটি সিরিজের ৮টি ম্যাচই হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তান সফরে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নিশ্চিত, তবে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য তিন ম্যাচ নিয়েও একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
এদিকে, বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব এখনো শূন্য। নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব দিতে চান না। বিসিবি এখনো নতুন অধিনায়কের নাম চূড়ান্ত করেনি, তবে লিটন দাসকেই সম্ভাব্য নেতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির হতাশার পর এখন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ব্যস্ত সময় পার করছে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। তবে এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য দলের খেলোয়াড়রা প্রিমিয়ার লিগ শেষেই যোগ দেবেন জাতীয় শিবিরে। এরপরই শুরু হবে পাকিস্তান সিরিজের প্রস্তুতি।
ওয়ানডে বাদ দিয়ে শুধুই টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজনের এই সিদ্ধান্ত দলকে কতটা এগিয়ে নেবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে আসন্ন বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য নিয়মিত টি-টোয়েন্টি খেলা যে গুরুত্বপূর্ণ, তা মানছে দুই দলই।