আরব আমিরাতের সাথে সিরিজ হারের লজ্জা দূর করতে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের খোঁজে নেমেছিলো টাইগাররা। তবে প্রতিপক্ষ বদলালেও ফলাফলে কোনো বদল আসেনি লিটনের দলের। পাকিস্তানের বিপক্ষেও হেরেছে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। স্বাগতিকদের দেয়া ২০২ রানের লক্ষ্য টপকাতে পারলো না সফরকারীরা। ম্যাচ হারতে হলো ৩৭ রানের ব্যবধানে।
আরও পড়ুন: আবারও টসে হার, ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
২০২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা মনমতো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই বিদায় নেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। ইমনের বিদায় সত্ত্বেও তামিমের ঝড়ো ব্যাটিং স্বপ্ন দেখাচ্ছিলো বাংলাদেশকে। যদিও ১৭ বলে ৩১ রান করে বিদায় নিতে হয় তামিমকেও।
তামিমের বিদায়ের পর অধিনায়ক লিটন দাস ইনিংস মেরামতের কাজটা সাড়ার চেষ্টা করছিলেন। তাওহীদ হৃদয়ের সাথে ৬৩ রানের জুটি গড়ে সেই কাজে কিছুটা সফলও হয়ে যান টাইগার অধিনায়ক। তবে ব্যক্তিগত ৪৮ রানে লিটন বিদায় নিলে তাসের ঘরের মতো ভাঙতে থাকে টাইগার ব্যাটিং লাইনআপ। জাকের আলী অনিক ২১ বলে ৩৬ রানের এক ইনিংস খেললেও সেটা শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে। প্রায় এক বছর পর পাকিস্তানের জার্সিতে মাঠে নেমে ৩০ রান ৫ উইকেট তুলে টাইগার ব্যাটিং লাইনআপের ধস একা হাতে নামিয়েছেন হাসান আলী।
আরও পড়ুন: আইপিএলের প্লে-অফ চূড়ান্ত, কে কার প্রতিপক্ষ
এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। যদিও শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি। প্রথম ওভারে শেখ মেহেদী হাসানের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন সাইম আইয়ুব। দ্বিতীয় ওভারে শরীফুল ইসলামের এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়ে ফিরে যান আরেক ওপেনার ফখর জামান। মাত্র ৫ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান।
তবে সেই চাপ সামাল দেন অধিনায়ক সালমান আলি আগা ও মোহাম্মদ হারিস। দুজনে মিলে গড়েন ৪৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। হারিস খেলেন ১৮ বলে ৩১ রানের ইনিংস, যাতে ছিল একটি ছক্কা ও চারটি বাউন্ডারি। পাওয়ার প্লে শেষে তানজিম সাকিবের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন হারিস। এরপর সালমান এগিয়ে নিতে থাকেন দলের ইনিংস। ২৯ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতক।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পৌঁছেছে ফাহমিদুল
অন্যপ্রান্তে তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন পিএসএলে নজরকাড়া পারফরম্যান্স করা হাসান নেওয়াজ। এই জুটি যখন জমে উঠতে শুরু করে তখন ১২তম ওভারের শেষ বলে সালমানকে ফেরান হাসান মাহমুদ। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৪ বলে ৫৬ রান। এরপর রিশাদের বলে হাসান নেওয়াজ (২২ বলে ৪৪) এবং শামীমের বলে খুশদিল শাহও বিদায় নেন। ব্যাকফুটে চলে যাওয়া পাকিস্তানকে শেষ দিকে সামাল দেন শাদাব খান। একের পর এক বাউন্ডারি ও ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ২০১ রানের লড়াকু পুঁজিতে পৌঁছে দেন এই অলরাউন্ডার।