নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে চার ম্যাচের চারটিতে জিতে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান৷ তবে ফাতিমা সানার নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান বিশ্বকাপে ওঠায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই।
আরিও পড়ুন: সৈয়দ সামির সাথে একমত সাব্বির
কারণটা স্পষ্ট। ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) মধ্যে এক ধরনের সমঝোতা তৈরি করে দেয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। ২০২৪-২৭ চক্রে ভারত, পাকিস্তানে যেসব আইসিসি ইভেন্ট হবে, সেগুলোতে তারা কেউ একে অপরের দেশে খেলতে যাবে না, সেক্ষেত্রে ভারত বা পাকিস্তানের ম্যাচগুলো হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। এমনকি কোন দল বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলে সেটাও হবে আয়াজক দেশের বাইরে। এ নিয়মকে বলা হচ্ছে হাইব্রিড মডেল।

ফলে ২০২৫ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপও হাইব্রিড মডেলে হওয়ার কথা। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে হতে যাওয়া হাইব্রিড মডেলে পাকিস্তান তাদের ম্যাচগুলো কোথায় খেলবে, তা বিসিসিআই বা আইসিসি কেউ এখনো নিশ্চিত করেনি। পিসিবিও তাদের নারী ক্রিকেটারদের ভারতে পাঠাবে কি না, সেটা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে৷
আরও পড়ুন: ইয়ামালের মাঝে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখেন মেসি
মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যেতে পাকিস্তান রাজি না হলে তা বিসিসিআইকেও মানতে হবে। কারণ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে দু’দেশের মধ্যে হওয়া সমঝোতা নিয়ে তেমন আপত্তি করেনি পিসিবি৷ তাই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে ভারতের ম্যাচগুলো হয়েছিল দুবাইতে৷ সেই আসরে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল রোহিত-কোহলিরা৷

২০০৮ এশিয়া কাপের পর থেকে ভারতীয় ক্রিকেটারদের পাকিস্তান সফর বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি ২০২৩ এশিয়া কাপ, ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি—এই দুই মেজর ইভেন্টের আয়োজক পাকিস্তান হলেও ভারত খেলেছে অন্য ভেন্যুতে। ২০২৩ এশিয়া কাপের ম্যাচগুলো ভারত খেলেছিল শ্রীলঙ্কায়। অবশ্য ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে এসেছিলেন বাবর আজমরা। তবে হাইব্রিড মডেল অনুযায়ী আসন্ন নারী বিশ্বকাপে ভারতে পাকিস্তানের না যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলছে গণমাধ্যমগুলো৷