বুধবার, জুন ২৫, ২০২৫
সামি'স কর্নার

টেন্ডুলকারের পাশে নিজের নাম, বিশ্বাস হচ্ছে না অ্যান্ডারসনের

ক্রিকেট ইতিহাসে অনেক ট্রফির নামকরণ হয়েছে কিংবদন্তিদের সম্মানে। তবে এবার ইংল্যান্ড ও ভারতের টেস্ট সিরিজের নতুন নামকরণ যেন এক অনন্য সম্মানের মুহূর্ত নিয়ে এলো জেমস অ্যান্ডারসনের জন্য। শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে মিলে সিরিজটির নতুন নাম হয়েছে ‘অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফি’, বিষয়টা এখনো বিশ্বাসই করতে পারছেন না ইংলিশ পেসার।

“এটা আমার জন্য বিশাল সম্মানের ব্যাপার। এখনো যেন বিশ্বাস হচ্ছে না,” লর্ডসে একটি ইভেন্টে আবেগময় কণ্ঠে বলছিলেন অ্যান্ডারসন। “শচীনকে আমি ছোটবেলায় দেখা শুরু করি, তিনি একজন জীবন্ত কিংবদন্তি। তার পাশে নিজের নামটা দেখতে পারাটা অবিশ্বাস্য।”

আরও পড়ুন: ২৯ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় নিকোলাস পুরানের

এই নতুন ট্রফিটি ২০০৭ সাল থেকে প্রচলিত পাতৌদি ট্রফির স্থলাভিষিক্ত হবে। আসন্ন ইংল্যান্ড-ভারত পাঁচ ম্যাচ টেস্ট সিরিজ থেকেই নতুন নাম চালু হচ্ছে, যার সূচনা হবে জুন ২০ তারিখে হেডিংলিতে। আনুষ্ঠানিক উন্মোচন হবে লর্ডসে, চলমান ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল চলাকালেই।

টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা দুই কিংবদন্তি—টেন্ডুলকার (২০০ টেস্ট) ও অ্যান্ডারসন (১৮৮ টেস্ট)—যাদের ক্যারিয়ারে ছড়িয়ে আছে তিন দশকেরও বেশি সময়ের গল্প। তাদের পথ ২০০৬ থেকে ২০১২ পর্যন্ত ১৪ বার টেস্টে এক হয়েছে, যেখানে অ্যান্ডারসন নয়বার আউট করেছেন শচীনকে।

ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে অ্যান্ডারসন যেন ফিরে তাকাচ্ছেন এক স্মরণীয় যাত্রাপথে। “ল্যাঙ্কাশায়ারে এখন আমি এমন কিছু ক্রিকেটারের সঙ্গে খেলছি, যাদের জন্মও হয়নি যখন আমার ৫০টা টেস্ট উইকেট ছিল। সময় কিভাবে উড়ে যায়, ভাবতেই অবাক লাগে।”

আরও পড়ুন: ভারত-ইংল্যান্ড লড়বে ‘অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফি’ জয়ে

ভারতের বিপক্ষে অ্যান্ডারসনের পারফরম্যান্স বরাবরই নজরকাড়া। ৩৯ ম্যাচে ১৪৯ উইকেট— কোনো একটি দেশের বিপক্ষে তার সর্বোচ্চ শিকার। ২০০৫-০৬ সালে মুম্বাইয়ে জয়, ২০১১ ও ২০১২-১৩ সালে টানা হোম-অ্যাওয়ে সিরিজ জয়, এমন অনেক অধ্যায় গাঁথা আছে তার স্মৃতিতে। তবে ব্যর্থতার গল্পও আছে। বিশেষ করে ভারতের মাটিতে একাধিক সিরিজ হার। সর্বশেষ ২০২৪ সালে টেস্ট ক্যারিয়ারের ৭০০তম উইকেট নিয়েও হার এড়াতে পারেননি।

আসন্ন সিরিজে ভারতকে নিয়ে আশাবাদী তিনি। শুবমান গিলের নেতৃত্বে রূপ নিচ্ছে নতুন দল, কিন্তু প্রতিভার অভাব নেই। অন্যদিকে, ইংল্যান্ডও ‘বাজবলের’ ঝড় নিয়ে নামবে মাঠে।

অ্যান্ডারসনের ভাষায়, “অ্যাশেজের পর ভারত সিরিজই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। অতীতে দারুণ লড়াই হয়েছে, এবারও হবে—এটাই প্রত্যাশা।”

আরও পড়ুন: তিন বছর পর ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে ওভারটন

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর