ওপেনিংয়ে নেমে তানজিদ হোসেন তামিমের ঝড়ো অর্ধশতকের পর টপ অর্ডারের দারুণ কিছু ইনিংসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ওভারের খেলা শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকদের রানের ২০৬ লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: সেঞ্চুরির পরও কেন একাদশে নেই ইমন- জানালো বিসিবি
মুস্তাফিজুর রহমানের পরিবর্তে টাইগার একাদশে পরিবর্তন আসাটা ছিলো স্বাভাবিক। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে একাদশে মোট চারটি পরিবর্তন এনেছেন অধিনায়ক লিটন। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো ইমনকে ছাড়াই একাদশ ঘোষণা করে কিছুটা অবাক করে দেয় টাইগাররা। তবে পরে অবশ্য বিসবির পক্ষ থেকে জানানো হয় ইনজুরির কারণে একাদশে রাখা হয়নি ইমনকে। ইমন-মুস্তাফিজ ছাড়াও একাদশ থেকে বাদ পড়েন মেহেদী ও হাসান মাহমুদ।

চার পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামা টাইগাররা অবশ্য টস ভাগ্যটা জিততে পারেনি। সিরিজ জেতার লক্ষ্যে খেলতে নামা ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে যেতে হয় লিটনের দলকে। ইমনকে ছাড়া কেমন করে ওপেনিং জুটি এই নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিলো অনেকের মনেই। তবে সব দুশ্চিন্তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেশ দারুণ শুরু করে দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে যাওয়ার ব্যাপারে সম্মতি দিলো লিটন-শান্তরা
বিশেষ করে তানজিদ হাসান তামিম প্রথম থেকেই যেন আভাস দিতে থাকেন বড় সংগ্রহের। প্রথম ওভারের শেষ তিন বলে এক ছক্কা ও দুই চারে জানান দেন আগ্রাসনের। তামিমকে দেখে লিটনও কিছুটা হাত খুলে খেলার চেষ্টা করলেও সব আলো কেড়ে নেন তামিমই। পাওয়ার প্লেতে তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সামনে কুপোকাত হয়ে পড়ে স্বাগতিক দলের বোলাররা।

প্রথম ছয় ওভারের মধ্যেই অর্ধশতকের দেখা পান তামিম। ২৫ বলে সাত চার ও তিন ছক্কায় পঞ্চাশ রান পূর্ণ করেন এই ব্যাটার। আর তাতে করে পাওয়ার প্লেতেই বিনা উইকেটে ৬৬ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ। ইনিংসে দশম ওভারে প্রথম আঘাত হানে স্বাগতিকরা, বিদায় করেন তামিমকে। ৩৩ বলে ৫৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বাহাতি এই ব্যাটার।
আরও পড়ুন: নাহিদকে একাদশে রেখে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
ইমনের বিদায়ের পর লিটনও বিদায় নিয়েছেন দ্রুতই। ৩২ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নের পথে হাটেন বাংলার এই অধিনায়ক। লিটনের বিদায়ের পরও রানের চাকা একই গতিতে সচল রাখেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়। দুজনে মিলে যোগ করেন ৩৮ রান। ১৯ বলে ২৭ রান করে বিদায় নেন শান্ত।
শান্তের বিদায়ের পর জাকের আলী অনিক ও তাওহীদ হৃদয় মিলে তোলে ১৩ বলে ৩৪ রান। এই জুটিতে ভর করেই দুইশো রানের সংগ্রহ পেরোয় বাংলাদেশ। হৃদয়ের ব্যাটে আসে ২৪ বলে ৪৫ রান ও জাকের করেন ৬ বলে ১৮ রান। বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ২০৫ রানে।