প্রথম ম্যাচ হারের পর সিরিজের দ্বিতীয় ম্যচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। স্বাগতিক লঙ্কানযুবাদের রীতিমতো বিধ্বস্ত করেছে বাংলার যুবারা। বল হাতে একাই ছয় উইকেট তুলে স্বাগতিক ব্যাটিং লাইনআপের কোমর ভেঙেছেন পেসার আল ফাহাদ। এরপর ব্যাট করতে নেমে জাওয়াদ আবরার জড়ের সামনে কোনো উত্তর ছিলো না স্বাগতিক বোলারদের। আর এতেই নয় উইকেটে বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তামিমের দল।
আরও পড়ুন: নিজেকে ‘আন্ডাররেটেড’ মানছেন তাইজুলও
সোমবার (২৮ এপ্রিল) কলম্বো ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। শুরুতে এসেই বেশ ঝড়ো গতিতে ব্যাট করতে থাকেন দুলনিথ সিগেরা। তবে নিজের ইনিংস খুব বেশি বড় করতে পারেননি এই ব্যাটার। ১৪ বলে ২৩ রান করে আল ফাহাদের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান এই ব্যাটার। তিনে ও চারে নামা দুই ব্যাটারও বিদায় নিয়েছেন দলীয় পঞ্চাশের আগেই।

এরপর অবশ্য চামিকা হেনাতিগালা ও দিমান্তা মাহাভিতানা মিলে দলের হাল ধরেন। দুজনে মিলে গড়েন ৫৩ রানের জুটি। তবে এই ৫৩ রান করতে এই দুই ব্যাটার খরচ করেন ১০১ বল। ব্যক্তিগত ৩৯ রানে আজিজুল হাকিম তামিমের শিকার হয়ে বিদায় নেন দিমান্তা মাহাভিতানা। এরপর দিনুরাকে সাথে নিয়ে দলের খাতায় আরো ৮১ রান যোগ করেন হেনাতিগালা। অর্ধশতক থেকে মাত্র তিন রান দূরে থেকে বিদায় নেন বিনুরা।
আরও পড়ুন: ‘ওরা খেলা বুঝে না’-নিন্দুকের উদ্দেশ্যে তাইজুল
হেনাতিগালাও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। একই ওভারে তিনিও ফিরে যান সাজঘরে। দুই সেট ব্যাটারকে আউট করে ম্যাচের লাগাম নিজেদের দিকে টেনে দেয় আল ফাহাদ। এরপর আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি বাংলাদেশকে। ইনিংসে নিজের শেষ ওভারে বল করতে এসে আরো তিন উইকেট নিজের নামে করে নেন ফাহাদ। আর তাতে ২১১ রানেই থেমে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ছয়টি উইকেট তুলেছেন আও ফাহাদ। এছাড়া দুইটি উইকেট তুলেছেন ইকবাল হোসেন ইমন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩৫ রানেই ওপেনিং জুটি ভাঙে বাংলাদেশের। মাথুলানের বলে দুলনিথ সিগেরার কাছে ক্যাচ তুলে দেন কালাম সিদ্দিকী। আউট হবার আগে তার ব্যাটে আসে মাত্র ৫ রান। গোটা ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বোলারদের সাফল্য বলতে শুধু এই এক উইকেটই। জাওয়াদ আবরার ও আজিজুল হাকিম তামিম মিলে আর কোনো উইকেট না দিলে বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা।

আরও পড়ুন: তাইজুলের ৫ উইকেটে ম্যাচে ফিরলো বাংলাদেশ
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এদিন ১৮৩ রান যোগ করেন জাওয়াদ আবরার ও আজিজুল হাকিম তামিম। ১৪ চার ও ৬ ছক্কার মারে ১০৬ বলে ১৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন ওপেনার জাওয়াদ আবরার। এ ছাড়া অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমের ব্যাটে আসে অপরাজিত ৮৯ বলে ৬৯ রান। এই জয়ে সিরিজে সমতায় ফিরলো বাংলাদেশ। আগামী বৃহস্পতিবার (১ মে) সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।