ইনিংস ব্যবধানে জয়, দলের দুই ব্যাটারের সেঞ্চুরি, আবার দীর্ঘদিন পর চারশ পার— সব মিলিয়ে কাগজে-কলমে চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ দারুণ খেলেছে। কিন্তু অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর মুখে তৃপ্তির হাসি নেই কারণ, সিরিজটা ১-১ এ শেষ হওয়া নয়, তার মতে এই সিরিজ জেতা বাংলাদেশের ‘উচিত ছিল’।
“আমার মনে হয়, সিরিজটা জেতা উচিত ছিল। আমাদের সেই সামর্থ্য ছিল, কিন্তু প্রথম টেস্টে যে ভুলগুলো করেছি, তার মূল্য দিতে হয়েছে,” ম্যাচ শেষে বলেন শান্ত।
আরও পড়ুন: অলরাউন্ডার মিরাজের কল্যাণে বিশাল জয় টাইগারদের

চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে তোলে ৪৪৪ রান। শতক পেয়েছেন সাদমান ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত— ৩৩ ইনিংস পর আসে শতরানের ওপেনিং জুটি। তবু শান্তর চোখে ব্যাটিং পারফরম্যান্সে ঘাটতি রয়ে গেছে।
“অধিনায়ক হিসেবে আমি কখনোই এমন স্কোরবোর্ড চাই না। যদি সাদমান ২০০ করত, আমি বা মুশফিক ভাই একশ বা দেড়শ করতাম, তাহলে এই রানটা আরও অর্থবহ হতো। সাতজন মিলে ৪০-৫০ করে রান করা কোনো ইউনিটের জন্য ভালো লক্ষণ না।”
মাঝের ব্যাটাররা শুরু পেয়েও কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। শান্ত নিজেও ‘সফট ডিসমিসালে’ আউট হন ২৩ রানে। বিষয়টা নিয়ে সোজাসাপ্টা নিজের দায়ও স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: বিসিবির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা ফারুক আহমেদের

“আমি ব্যাটিং উপভোগ করছিলাম। নার্ভাসনেস বা চাপ ছিল না। কিন্তু এরকম সফট ডিসমিসাল হলে দলের ক্ষতি হয়। এটা হওয়া উচিত নয়। সামনেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ আছে, চেষ্টা করব এমন ভুল যেন না হয়।”
অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকেও এল মাত্র ৪০ রান, ফিফটির দেখা পাচ্ছেন না দীর্ঘদিন ধরেই। তবুও তার আত্মবিশ্বাস দেখে আশ্বস্ত শান্ত।
“মুশফিক ভাই যতক্ষণ ব্যাট করেছেন, কখনো মনে হয়নি আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি আছে। আমি যখন তার সঙ্গে ব্যাট করছিলাম, বেশ আত্মবিশ্বাসী লাগছিল।”
বাংলাদেশ শেষবার দেশের মাটিতে ৪৪৪ রানের বেশি করেছিল প্রায় তিন বছর আগে। এত বড় ইনিংসের পরও শান্ত বলছেন, সেট ব্যাটারদের ইনিংস দীর্ঘ করা শিখতে হবে।

“যে রান করতে পারবে না সে করবেই না। কিন্তু যারা সেট হবে, তাদের দায়িত্ব নিতে হবে। কেউ দেড়শ, কেউ দুইশ— এভাবেই এগোতে হবে।”
বাংলাদেশ চট্টগ্রামে ঘুরে দাঁড়ালেও, প্রথম টেস্টের ব্যর্থতা সিরিজ জয় থেকে তাদের বঞ্চিত করেছে। আর সেটাই অধিনায়কের চোখে সবচেয়ে বড় আফসোস।