বৃহস্পতিবার, জুন ২৬, ২০২৫
সামি'স কর্নার

‘আমাকে নিয়ে কেউ ভাবেনি’, আক্ষেপে বিদায় আমিরের

পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আমিরের ক্রিকেট ক্যারিয়ার যেন হার মানায় সিনেমার গল্পকেও। অল্প বয়য়ে অভিষেকেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স, এরপর নিষেধাজ্ঞা, নির্বাসন কাটিয়ে ফিরে আসা, হঠাৎ অবসর, ফের ফিরে আসা, আবার হুট করে বিদায়। সবমিলিয়ে তার ক্রিকেটীয় জীবন যেন নাটকীয়তায় ভরা। তবে প্রশ্ন ছিলো দ্বিতীয়বার ফিরে এসে কেন হুট করে অবসরে গেলেন এই পেসার। এবার সেই উত্তর জানালেন আমির নিজেই।

সম্প্রতি পাকিস্তানের গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দ্বিতীয় মেয়াদে অবসর নেওয়ার ব্যাপারে খোলামেলা আলাপ করেছেন আমির। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর তার প্রতি বোর্ড বা সংশ্লিষ্ট কারও কাছ থেকে কোনো আগ্রহ পাননি বলে জানান আমির। তিনি বলেন, “যখন টুর্নামেন্ট শেষ হলো, তখন দেখি কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছে না। কেউ জানাচ্ছে না যে ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় আমি আছি কিনা। তখনই বুঝে গেছি, হয়তো আমাকে নিয়ে কেউ ভাবছে না। তাই আমিই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নেই।”

আরও পড়ুন: জিম্বাবুয়েকে ১৭৪ রানের লক্ষ্য দিল টাইগাররা

মূলত হতাশা থেকেই আমির দ্বিতীয়বার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান। অথচ এর আগেই তিনি বড় অঙ্কের কাউন্টি চুক্তি বাতিল করে দেশের ডাকে ফিরেছিলেন। আমির জানান, “আমি যা প্রয়োজন ছিল, সেটাই করেছি। ইংল্যান্ডে ভালো টাকায় খেলার সুযোগ ছিল, কিন্তু সেটা ছেড়ে দেশের হয়ে বিশ্বকাপে খেলতে এসেছিলাম। সত্যি বলতে, টুর্নামেন্টে যা ইনকাম হয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি ছেড়ে এসেছি। এমনকি প্রশিক্ষককে বিমানে চেপে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে সব খরচই নিজের পকেট থেকে দিয়েছি। কিন্তু সেটা এখন অতীত।”

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বাবর আজমের পারফরম্যান্স নিয়েও মত দিয়েছেন আমির। সম্প্রতি ব্যাট হাতে চিরচেনা ছন্দে নেই বাবর। তিনি বলেন, “বাবর এখনও পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ব্যাটার। কিন্তু সে এখন কিছু কৌশলগত সমস্যায় আছে। আমি লক্ষ্য করেছি, বল খেলতে গিয়ে ওর ব্যাট কিছুটা দেরিতে নামছে, যেটা ওর শট নির্বাচনে প্রভাব ফেলছে।”

আরও পড়ুন: বিসিবি ছাড়ার সিদ্ধান্ত এলিট আম্পায়ার সৈকতের

কয়েকদিন আগেই বাইশগজে একের অপরের মুখোমুখি হয়েছিলো বাবরের পেশোয়ার জালমির ও আমিরের কোয়েটা। সেই ম্যাচে বাবরের উইকেট নেওয়ার পর আমিরের উচ্ছ্বাস নজর কেড়েছিল। মাঠে তার আগ্রাসী আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি জানান, প্রতিযোগিতার সময় এসব স্বাভাবিক। তিনি বলেন, “খেলার মাঠে বন্ধুত্ব বা সিনিয়র-জুনিয়র বলে কিছু থাকে না। যদি কেউ আমার প্রথম বলেই চার মারেন, আমি তো তাকে জড়িয়ে ধরতে যাব না! বরং আমি চেষ্টা করব ওর মনোযোগ নষ্ট করতে। এটাই খেলার অংশ। যদি কখনো সীমা ছাড়িয়ে যাই, আম্পায়ারদের কাজ শাস্তি দেওয়া। তারা যখন কিছু বলেননি, বুঝে নিই আমি নিয়মের মধ্যেই আছি।”

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর