ডিপিএলের সুপার লিগ পর্বে মাঠের খেলা থেকে মাঠের বাইরের বিতর্ক নিয়েই শোরগোল বেশি ছিলো ক্রিকেট পাড়ায়। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে আম্পায়ারের সাথে অসদাচরণের জেরে হৃদয়কে নিষেধাজ্ঞা করা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। সেই বিতর্কের জল গড়িয়েছে লিগের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত। আবাহনীর বিপক্ষে অলিখিত ফাইনালে খেলতে পারেননি হৃদয়। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর বিপক্ষে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারের পর নিজের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে মুখ খুলেছেন হৃদয়। জানিয়েছেন তার দল মোহামেডানের মানসিক যুদ্ধের কথা।
আরও পড়ুন: লঙ্কান লিগে বিলুপ্ত তাসকিন ও হৃদয়ের দল
নিজের ফেসবুক পোস্টে হৃদয় লেখেন, “এবারের প্রিমিয়ার লীগে ২২ গজের বাহিরেও এক প্রকার অলিখিত যুদ্ধ করে গেলো মোহামেডানে স্পোর্টিং ক্লাব। আর কোনো দলকে এতোটা মানসিক যুদ্ধ করতে হয়নি, যতোটা মোহামেডান করেছে।”
হৃদয়ের মতে তার নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে তাদের দিকের কথা কখনোই তারা জানাতে পারেননি। তিনি বলেন, “প্রতিটি গল্পের দুটি দিক থাকে। হয়তো একপক্ষের চাপে অপরপক্ষ আমাদের কখনো জানার সুযোগ হয়না। তাই ঢালাওভাবে সবটা না জেনেই আমরা কিছু করে বসি বা বলে ফেলি। একদম শুরু থেকে যদি সবটাই বলতে পারতাম তবে কাহিনী হতো ভিন্ন, যেটা বলতে পারছি না, কেনো পারছি না তা নাহয় পরেই বলবো!!”
আরও পড়ুন: ৬ ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা, চোটে মৌসুম শেষ রুডিগারের
তিনি আরো বলেন, “নিজেদের ভেতর অনেক কিছুই হয়, বড়-ছোট সবাই ভুল করে, পরিবারের অপর মানুষটা যেনো ছোট বা অপমানিত না হয় সেজন্য নিজেকেও অনেক কিছু নিজের ঘাড়ে নিতে হয়, আবার সহ্য করতে হয়ঃ- হোক সেটা অপমান কিংবা ভালোবাসা। এগুলো মিলেই জীবন। আপাতত এটাই বুঝিয়েছি নিজেকে।”
পরিশেষে নিজ ক্লাব মোহামেডানের কর্তৃপক্ষ ও ক্লাব সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে হৃদয় বলেন, “মোহামেডানের কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকটি ম্যাচে আমাকে উপস্থিত রাখার যে চেষ্টা করেছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমার সতীর্থ প্লেয়ার, শ্রদ্ধেয় কোচ, সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ভালোবাসা।”