পাকিস্তানের মাটিতে আরও একবার ব্যাটিং ব্যর্থতায় মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও প্রতিপক্ষের রান দাঁড়ায় ২০১— তবে জবাব দিতে নেমে এবার আরও বাজে চিত্র। শুরুতে খানিকটা আশা দেখালেও শেষপর্যন্ত ১৪৪ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। ৫৭ রানের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছে স্বাগতিকরা।
তবে এদিন ব্যতিক্রম ছিলেন কেবল তানজিম হাসান সাকিব। ৯ নম্বরে নেমে একাই লড়াই চালিয়ে গেছেন। ৩১ বলে ৫০ রানের ঝলক দেখিয়েছেন, গড়েছেন একাধিক রেকর্ডও। কিন্তু দল হারায় ম্যাচ শেষে কণ্ঠে ছিল হতাশার সুর। উইকেটের চরিত্র ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘‘এই উইকেটের চরিত্র বুঝলে ২০০ রান চেজ করা একদমই অসম্ভব না। পিএসএলে আমরা দেখেছি, এই মাঠে রানের বন্যা বইতে পারে। কিন্তু আমরা সেই পথ খুঁজে পাচ্ছি না। কারণ একটাই, টানা উইকেট হারানো।’’
আরও পড়ুন: ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বৃথা সাকিবের প্রচেষ্টা, সিরিজ হার টাইগারদের
তাঁর ব্যাখ্যায়, শুধু ভালো শুরু করলেই হবে না, দরকার স্থিরতা, দরকার ইনিংস গড়ার দৃঢ়তা। বলেন, ‘‘আমরা একের পর এক উইকেট হারাচ্ছি, যার ফলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যাচ্ছি। প্রথম ম্যাচেও লিটন ভাই যতক্ষণ ছিলেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা ম্যাচে ছিলাম। কিন্তু উইকেট হারিয়ে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে আমরাও ব্যাকফুটে চলে যাই।’’
বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ের মূল সমস্যা নিয়েও খোলামেলা কথা বলেন তানজিম। তাঁর মতে, ব্যাটারদের স্কিল নিয়ে সন্দেহ নেই, কিন্তু মানসিক ছন্দ হারিয়েছেন অনেকেই। বলেন, ‘‘সবাই প্রমাণিত ক্রিকেটার, কিন্তু ছন্দে নেই। আমি তাদের প্রতি আত্মবিশ্বাস রাখি, আশা করি তারা ফিরবে। তবে আমাদের আরও দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে হবে, জুটি গড়া শিখতে হবে। রান তো এমনিতেই আসে, কিন্তু একসঙ্গে ২-৩টা উইকেট গেলে রানের কোনো মূল্য থাকে না।’’
ব্যাক টু ব্যাক উইকেট পতনের ফলে ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। পারভেজ ইমনের বিদায়ের পর তামিমের, এরপর লিটন-হৃদয় জুটিও ভেঙে যায় দ্রুত। তানজিম বলেন, ‘‘যখন জুটি গড়ার চেষ্টা করি, তখনই উইকেট হারিয়ে ফেলি। আমাদের ম্যাচ হারানোর মূল কারণ এটাই।’’
আরও পড়ুন: হাবিবুল বাশার বললেন, ‘এই বাংলাদেশ অচেনা’
সিরিজে এখন ২-০ তে পিছিয়ে বাংলাদেশ। হাতে আছে আর মাত্র এক ম্যাচ। সেটি ১ জুন। তবে সিরিজ হাতছাড়া হওয়ার চেয়েও বড় চিন্তা— এই উইকেটে যেখানে ২০০ রান তাড়া সম্ভব, সেখানে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটিং। সমস্যার শিকড়টা যে আরও গভীরে, তা মানছেন দলটির একমাত্র লড়াকু সৈনিকও।