বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের মধ্যকার চার দিনের টেস্ট ম্যাচে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর হেলমেট কাণ্ডে শাস্তি পেলেন তিন ক্রিকেটার। বিসিবির এক সূত্র মতে বিষয়টি এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় গনমাধ্যম প্রথম আলো। সাসপেনশন পয়েন্ট হিসেবে দেওয়া এই শাস্তি অনুযায়ী বাকি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড।
আরও পড়ুন: হাবিবুল বাশার বললেন, ‘এই বাংলাদেশ অচেনা’
ঘটনার শুরু মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে, দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে। তখন ব্যাট হাতে মাঠে বাংলাদেশের তরুণ পেসার রিপন মণ্ডল। ইনিংসের ১০৫তম ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলার এনতুলির বলে জোরালো ছক্কা হাঁকান রিপন। ছক্কার পর কিছু একটা বলেন তিনি, যেটা ভালোভাবে নেননি বোলার এনতুলি। পরে জানা যায়, ছক্কা খেয়ে এনতুলি কিছুটা হতাশা প্রকাশ করলে রিপন সেটি বুঝতে পারেননি এবং এনতুলির বান্ধবীকে নিয়ে কথা বলেন। আর এতেই ঘোলাটে হয়ে যায় পরিস্থিতি। শুরু হয় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়।
একপর্যায়ে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। এনতুলি রিপনের হেলমেট ধরে এমনভাবে টান দেন যে নুইয়ে পড়তে বাধ্য হন বাংলাদেশের পেসার। তখন পাশে দাঁড়ানো দক্ষিণ আফ্রিকান খেলোয়াড় মিকায়েল প্রিন্স আঙুল উঁচিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন রিপনের সঙ্গে। আম্পায়াররা এসে পরিস্থিতি ঠান্ডা করার চেষ্টা করেন। তবে এখানেই শেষ নয়, দুই বল পর রিপনের দিকে আবারো বল ছুড়ে মারেন এনতুলি।
আরও পড়ুন: ফারুক আহমেদের মনোনয়ন বাতিল করল এনএসসি
এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তিন ক্রিকেটারের শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে। আইসিসির আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রতিপক্ষকে উত্তপ্ত করে ‘অশোভন ভাষা’ ব্যবহারের কারণে রিপন মণ্ডল পেয়েছেন দুই সাসপেনশন পয়েন্ট। এর জবাবে এনতুলির আচরণ ছিল আরও গুরুতর, হেলমেট ধরে টানা ও বল ছুড়ে মারার জন্য তাঁকে দেওয়া হয়েছে চারটি সাসপেনশন পয়েন্ট। অন্যদিকে, তর্কে জড়িয়ে আঙুল উঁচিয়ে কথা বলার কারণে একটি সাসপেনশন পয়েন্ট পেয়েছেন মিকায়েল প্রিন্স।
শাস্তির এই ব্যাপারে ম্যাচ রেফারি সেলিম শাহেদ প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, ‘শাস্তির বিষয়ে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু সিরিজে আর কোনো ম্যাচ নেই, তাই এখন থেকে ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যানেজারকে ভিডিও প্রমাণসহ ইমেইল পাঠানো হয়েছে।’