বৃহস্পতিবার, জুন ২৬, ২০২৫
সামি'স কর্নার

হারা ম্যাচে অর্জনের খাতায় নাম মিরাজ-জাকেরের

প্রায় সাড়ে ছয় বছর পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লাল বলের ফরম্যাটে ম্যাচ হারল বাংলাদেশ। সবশেষ ২০১৮ সালে এই সিলেটের মাটিতেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছিল ১৫১ রানে। আর এবার টাইগারদের পরাজয়ের ব্যবধান তিন উইকেট। পুরো ম্যাচ জুড়ে টাইগারদের অর্জন বলতে শুধু মেহেদী মিরাজের দুই ইনিংসেই ফাইফার এবং জাকের আলী অনিকের ৫৮ রানে গড়া অনন্য এক কীর্তি।

আরও পড়ুন: ম্যাচ হারের দায়ভার নিজের কাঁধেই নিলে শান্ত

প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতার পর বল হাতে জ্বলে উঠেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার ঘূর্ণি জাদুতে অল্প রানের লিড পেয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে জিম্বাবুয়েকে। দ্বিতীয় ইনিংসেও বল হাতে চাপে রেখেছেন সেই মিরাজই। ১৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মিরাজের ঘূর্ণির কাছে পরাস্ত হয়ে হারতে বসেছিল সফরকারীরা।

দ্বিতীয় ইনিংসেও ফাইফার তুলেছেন মিরাজ। ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে বোল্ড করে নিজের ক্যারিয়ারের দুইশতম উইকেট স্বীকৃতি দিয়ে নিয়েছেন মিরাজ। তবে গোটা ম্যাচে ১০ উইকেট তুলেও ব্যর্থ হয়েছেন মিরাজ। জেতাতে পারেননি দলকে। এদিকে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারির তালিকায় মিরাজের অবস্থান এখন তিন নম্বরে। তার উপরে আছেন দুই বাহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলাম।

আরও পড়ুন: শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ম্লান বিজয়ের শতক, জয় পেলো আবাহনী

৭১ টেস্টে সবচেয়ে বেশি ২৪৬টি উইকেট শিকার করেছেন সাকিব। সাকিবের পরের অবস্থান তাইজুলের। ৫২ টেস্টে তার ঝুলিতে আছে ২১৯টি উইকেট। সমান সংখ্যক ম্যাচে মিরাজের উইকেট সংখ্যা ২০০টি। টেস্টের হিসাবে অবশ্য সবচেয়ে দ্রুততম ২০০ উইকেট শিকার করার রেকর্ড রয়েছে তাইজুলের কাছে। বাহাতি এই স্পিনারের লেগেছে ৪৮ ম্যাচ, আর টাইগার অলরাউন্ডার সাকিবের লেগেছে ৫৪ ম্যাচ। এছাড়া মিরপুরের বাইরে প্রথমবারের মতো ১০ উইকেট নেবার কীর্তি করা মিরাজ এই নিয়ে মোট ক্যারিয়ারে ১০ উইকেট পেয়েছেন তিনবার। যা কিনা বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এদিকে অনন্য এক কীর্তি গড়েছেন জাকের আলী অনিকও। দ্বিতীয় ইনিংসে যখন একে একে বিদায় নিচ্ছিলেন টাইগার ব্যাটাররা, তখন এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন জাকের। তার ৫৮ রানে ভর করে অল্প হলেও লড়াই করার মতো পুঁজি পায় টাইগাররা। সাদা পোশাকে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচ খেলা জাকের চারটিতেই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। বাংলার ক্রিকেট ইতিহাসে যা কিনা এক অনন্য কীর্তি।

এছাড়া প্রথম ৮ ইনিংসে ৩২২ রান করা জাকেরের থেকে একই সময়ে বেশি রান করেছেন শুধু হাবিবুল বাশার ও মুমিনুল হক। অভিষেকের পর প্রথম ৮ ইনিংসে মুমিনুলের ব্যাটে আসে ৪৫৮ রান এবং বাশার করেছিলেন ৩৩৪ রান। এদিকে অভিষেকের পর টানা ফিফটির দেখা পাওয়ার দিক দিয়ে সবার আগে রয়েছেন কামিন্দু মেন্ডিস। লঙ্কান এই ক্রিকেটার অভিষেকের পর টানা ৮ ম্যাচে অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন।

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর