‘এ’ দলের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ও দুইটি চারদিনের ম্যাচ খেলার জন্য বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল। এই সিরিজকে সামনে রেখে বেশ শক্তিশালী এক স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি। জায়গা পেয়েছে জাতীয় দলের রাডারে থাকা সব তারকা ক্রিকেটার। তবে এবার শেষ মুহূর্তে একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে স্কোয়াডে। মুস্তাফিজুর রহমানের পরিবর্তে ডাক পেয়েছেন আরেক পেসার খালেদ আহমেদ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে প্রীতি ম্যাচের আমন্ত্রণ চীনের
জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ হওয়া সত্ত্বেও কিউইদের বিপক্ষে ‘এ’ দলে ডাক পেয়েছিলেন কাটার মাস্টার। এতো অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন ক্রিকেটারের ‘এ’ দলে ডাক পাওয়াটা ছিলো বেশ চমকপ্রদ এক সিদ্ধান্ত। তবে শেষ পর্যন্ত আর ‘এ’ দলে খেলা হচ্ছে না ফিজের। তার পরিবর্তে ডাক পেয়েছেন খালেদ। অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের ইন চার্জ শাহরিয়ার নাফীস।
নাফীস বলেন, “একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। ‘এ’ দলটা যখন বাছাই করা হয়েছিল, তখনও মুস্তাফিজ ডিপিএলে আসলে খুব বেশি ম্যাচ খেলেনি। পরে যেহেতু সুপার লিগে কয়েকটি ম্যাচ খেলেছে, তার ম্যাচ অনুশীলন হয়েছে বলেই মনে হয়েছে এবং নির্বাচক কমিটি অন্য কাউকে সুযোগ দেওয়ার কথা ভেবেছে।”
আরও পড়ুন: আইপিএলের প্লে-অফের যাওয়ার সমীকরণ
এদিকে ‘এ’ দলে জাতীয় দলের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বেশ কিছু ক্রিকেটার থাকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। তিনি বলেন, “এমন নয় যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞ তারকাদের ‘এ’ দলে খেলানো যাবে না। গত পাকিস্তান সফরের আগে কিন্তু মুশফিক, মুমিনুলের মতো অভিজ্ঞরা সেখানে প্রস্তুতির জন্য ‘এ’ দলের হয়ে খেলেছে। কেউ চোট থেকে ফিরলে, ম্যাচ অনুশীলনের দরকার হলে কিংবা খেলার পরিস্থিতি তৈরি হলে যে কেউ আসলে ‘এ’ দলের হয়ে খেলতে পারে।”
মুস্তাফিজক প্রথমে একবার স্কোয়াডে রেখে পরে আবার বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তের পিছনে যৌক্তিকতা সম্পর্কেও ব্যাখ্যা করেছেন লিপু। তিনি বলেন, “মুস্তাফিজ বেশ কিছুদিন খেলার বাইরে ছিল। ডিপিএলে শুরু থেকে সে ছিল না। পরে মোহামেডানের হয়ে প্রথম যে ম্যাচ খেলেছে, সেখানে সে মাত্র দুই ওভার বল করেছিল। পরের ম্যাচে করেছে ৯ ওভার। ওই সময়টায় আমরা আসলে ‘এ’ দল নিয়ে কাজ করছিলাম। ডিপিএলে মুস্তাফিজ কতগুলি ম্যাচ খেলবে, কত ওভার বোলিং করবে, তখনও আমরা নিশ্চিত ছিলাম না।”
আরও পড়ুন: আকবরের নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের ইমার্জিং দল ঘোষণা
মুস্তাফিজের পরিবর্তে খালেদ আহমেদকে ডাকার পেছনেও যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে মনে করেন লিপু। তিনি বলেন, “যখন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে খালেদকে না খেলানোর সিদ্ধান্ত হয়, তখন আমরা ওকে ‘এ’ দলে নিয়ে নেই। খালেদ যদি টেস্ট ম্যাচটিতে খেলত, তাহলে হয়তো মুস্তাফিজের বদলে আমরা অন্য কাউকে নিতাম। যেহেতু চট্টগ্রামে সে খেলেনি, তাই তাকেই আমরা ‘এ’ দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”