সিলেটে প্রথম টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ উইকেটে হারা বাংলাদেশ চট্টগ্রামে এসে সফরকারীদের ইনিংস ও ১০৬ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে।
আর চট্টগ্রাম টেস্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজের সাফল্যের কৃতিত্ব একা নেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। বরং শুরুতেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন দুইজনের প্রতি— কোচ মিজানুর রহমান এবং দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবালের।
আরও পড়ুন: অলরাউন্ডার মিরাজের কল্যাণে বিশাল জয় টাইগারদের

মিরাজ বলেন, “অনেক দিন ধরেই ব্যাটিং নিয়ে কাজ করছি মিজান স্যারের সঙ্গে, তাঁর অবদান অনেক।” আর মানসিকভাবে পাশে থাকায় কৃতজ্ঞতা জানালেন নাফিস ইকবালের প্রতিও, “নাফিস ভাই সবসময়ই উৎসাহ দেন। ব্যাটিংয়ে নামার আগে আজও বলছিলেন— ‘তুই প্রপার ব্যাটার, তোর তো একটা সেঞ্চুরি আছে।’ এই কথাগুলো আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।”
১০৪ রানের ইনিংস খেলার পথে মিরাজ মেরেছেন ১১টি চার ও একটি ছয়। তবে তাঁর অবদান কেবল ব্যাটে নয়, বল হাতেও তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। এই পারফরম্যান্সে আরেকজনের নাম তুললেন মিরাজ— স্পিন কোচ সোহেল ইসলাম। জানালেন, “উনি সবসময় পাশে থেকে পরামর্শ দেন, ওখান থেকেও অনেক সাহায্য পেয়েছি।”
শতক গড়ার পথে দলের শেষ দিকের ব্যাটারদের অবদানও ভুলেননি এই অলরাউন্ডার। তাইজুল, তানজিম ও হাসানের ভূমিকাও উল্লেখ করলেন আলাদাভাবে। “তারা সময় নিয়ে খেলেছে, আমাকে সাপোর্ট দিয়েছে। ওদের জন্যই আমি শতকটা করতে পেরেছি।”
আরও পড়ুন: বিসিবির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা ফারুক আহমেদের

নিজের কীর্তিতে আলো ছড়ালেও মিরাজের ভাষ্যটা স্পষ্ট— দলের সমর্থন ছাড়া কিছুই সম্ভব হতো না।
তবে বরাবরের মতো আবারও প্রসঙ্গ এসেছে সাকিব আল হাসানের৷ মিরাজ জানান, সাকিব আল হাসান একজনই৷ তার অর্জনও অনেক। তিনি বলেন, “তার অর্জন অনেক বেশি। দেখেন, সাকিব ভাই তার রোল প্লে করেছে। আমি আমার মতো করে দলকে সাহায্য করছি। আমি কিন্তু বোলিং দিয়েই ক্যারিয়ার শুরু করেছিলা। এরপর আস্তে আস্তে ব্যাটিংয়েও উন্নতি করেছি। যেহেতু সাকিব ভাই এখন নেই। স্বাভাবিকভাবেই, আমাদের উপর দায়িত্ব বেড়েছে।”