শুক্রবার, জুন ২৭, ২০২৫
সামি'স কর্নার

অলরাউন্ডার মিরাজের কল্যাণে বিশাল জয় টাইগারদের

মেহেদী মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে তৃতীয় দিনেই ম্যাচ জিতে নিলো বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়েকে হারালো ইনিংস ও ১০৬ রানের ব্যবধানে। ব্যাট হাতে শতক হাঁকানোর পর বল হাতে ফাইফার তুলে একাই জিম্বাবুয়ে বধের গল্প লিখলেন মিরাজ। সেই সাথে দ্রুততম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে দুই হাজার রান ও দুইশো উইকেটের মাইলফলকেও এদিন নাম লেখালেন মিরাজ। আর এই জয়ের মধ্য দিয়ে ১-১ সমতায় রেখে সিরিজ শেষ করলো শান্ত বাহিনী।

আরও পড়ুন: বিসিবির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা ফারুক আহমেদের

৬৪ রানে এগিয়ে থেকে দিনের খেলা শুরু করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। সফরকারী বোলারদের চাপ সামলে বেশ দেখেশুনেই খেলছিলেন এই দুই টাইগার ব্যাটার। তবে দলীয় ৩৪২ রানে গিয়ে হার মানতে হয় তাইজুলকে।৪৫ বলে ২০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন প্রথম ইনিংসের এই নায়ক। টাইগারদের রানের চাকা ঘোরানোর পুরো দায়িত্বটাই তখন মিরাজের কাধে। অভিষিক্ত তানজিম সাকিবকে নিয়ে সেই কাজটা বেশ ভালোভাবেই করতে থাকেন মিরাজ।

লাঞ্চে যাবার আগে এই দুই ব্যাটার দলের খাতায় যোগ করেন আরো ৬২ রান। আর তাতেই বাংলাদেশের সংগ্রহ পেরিয়ে যায় দুইশো রানের কোটা। ১৭৭ রানের লিড নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। মিরাজ অপরাজিত থাকেন ১০৯ বলে ৭৬ রানে, আর সাকিবের ব্যাটে আসে ৫৭ বলে ২৯ রান। লাঞ্চের আগেই অর্ধশতকের দেখা পাওতা মিরাজ এদিন পৌঁছে যান দুই হাজার রানের মাইলফলকেও। সাকিবের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে দুই হাজার রান ও দুইশো উইকেট তোলা ক্রিকেটারদের এলিট ক্লাবে জায়গা করে নিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। 

আরও পড়ুন: মিরাজ-সাকিবের ব্যাটে বড় লিডের স্বপ্ন বাংলাদেশের

তবে ব্যক্তিগত ৪১ রানে ফেরত যান তানজিম সাকিব। আর তাতেই ভেঙে যায় মিরাজ-সাকিবের ৯৬ রানের অনবদ্য এক জুটি। সাকিব বিদায় নেওয়ার পর শঙ্কা ছিলো মিরাজের সেঞ্চুরি নিয়ে। তবে সেই শঙ্কা দূর করে ঠিকই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক তুলে নেন মিরাজ। শেষ পর্যন্ত মাসকেসার বলে বিদায় নিলে শেষ হয় মিরাজের ১০৪ রানের ইনিংস। ২১৭ রানের লিড নেয় বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের হয়ে টেস্ট অভিষেকেই ৫ উইকেট নেম স্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেসা। সফরকারীদের হয়ে টেস্ট অভিষেক ইনিংসে এর আগে ৫ উইকেট নিয়েছেন অ্যান্ডি ব্লিগনাট ও জন নিয়ুম্বু।

২১৭ রানে পিছিয়ে থেকে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়ের শুরু খুব একটা ভালো হয়নি। বেনেটকে স্লিপে ক্যাচ দিতে বাধ্য করে উইকেট তুলে নিয়েছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। এক বল পর আবারো উইকেট তাইজুলের। নিক ওয়েলচকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন এই বাহাতি বোলার। যদিও টাইগারদের আবেদনে প্রথমে সাড়া দেননি কুমার ধর্মসেনা, তবে রিভিউ নিয়ে সে যাত্রায় সফল হন অধিনায়ক শান্ত।

আরও পড়ুন: পাকিস্তান-বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচি প্রকাশ

চা বিরতির পর আবারো স্লিপে ক্যাচ তুলে নেন সাদমান। এবার অবশ্য বোলিং প্রান্তে ছিলেন নাঈম, বিদায় করেন শন উইলিয়ামসকে। ব্যাট হাতে শতক হাঁকানো মিরাজ এরপর তান্ডব শুরু করেন বল হাতে। আরভিন-মাধেভেরে কেউই টিকতে পারেননি মিরাজের ঘূর্ণি জাদুর সামনে। তাসের ঘরের মতো ভাঙতে শুরু করে সফরকারীদের ব্যাটিং লাইনআপ। 

এদিনটা যেন ছিলো মেহেদী মিরাজের। ব্যাট হাতে শতকের পর বল হাতে ফাইফারটাও তুলে ফেলেছেন টাইগার এই অলরাউন্ডার। শেষ পর্যন্ত ১১১ রানে শেষ হয় সফরকারী জিম্বাবুয়ের ইনিংস। টাইগারদের হয়ে ৩২ রান খরচায় সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট তুলেছেন মিরাজ। এছাড়া প্রথম ইনিংসে ফাইফার পাওয়া তাইজুল দ্বিতীয় ইনিংসে তুলেছেন আরো তিনটি উইকেট।

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর