ইমিগ্রেশন জটিলতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিমানবন্দরে আটকা পড়েছিলেন জাতীয় দলের দুই তারকা ক্রিকেটার নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসেন। দলের সাথে তাই যোগ দিয়েছেন কিছুটা দেরিতে। রবিবার (১৮ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশনসের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম।
আরও পড়ুন: ‘সাকিবই বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার’, লাহোরের মালিকের কন্ঠে মুগ্ধতা
ফাহিম জানান, “তাদের ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত কিছু জটিলতা ছিল যে কারণে তাদেরকে দলের সাথে ইউএইতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। তারা (বিমান কর্তৃপক্ষ) কিছুটা সময় নিয়েছে এবং সবদিক চিন্তা-ভাবনা করেই হয়তো তারা শেষ পর্যন্ত তাদেরকে অনুমতি দিয়েছে। এখন পুরো দল একসাথে আছে।”

যদিও এমন পরিস্থিতিতে বিকল্প ব্যবস্থা ঠিক করে রেখেছিলো বিসিবি। প্রস্তুত রাখা হয়েছিলো নাসুমকে। যদিও সেটার আর প্রয়োজন পড়েনি। ফাহিম বলেন, “আমরা এই পরিস্থিতি বিবেচনায় নাসুমকে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। যদি ওদের প্রবেশের সমস্যা থাকতো সেক্ষেত্রে নাসুম হয়তো দলের সাথে যুক্ত হতো। তবে এখন যেহেতু ওরা সবাই দলের সাথে আছে তাই সে সমস্যাটা আর নেই। এই দলই বাকি যা খেলা আছে সেটা খেলবে এবং নাসুম দেশে ফিরে যাবে। ওর সামনে নিউজিল্যান্ড এর সাথে একটা চারদিনের ম্যাচ আছে, ও সেটা খেলবে।”
আরও পড়ুন: ডেথ ওভারে মুস্তাফিজই ডট বলের রাজা
এদিকে পারভেজ হোসেন ইমনের দুর্দান্ত শতকের পর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ২৭ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে টাইগাররা ১৯২ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করালেও তাদের সাথে দারুণ লড়াই করেছে স্বাগতিকরা। জয়ের এই কৃতিত্বটা বাংলাদেশের, এমনটাই মনে করছেন ফাহিম।

তিনি বলেন, “জয় তো সবসময় খুবই সন্তোষজনক একটা ব্যাপার। তবে যেটা দেখার বিষয় হচ্ছে যে আরব আমিরাতের ক্রিকেটের যে অবস্থান এবং আমাদের যে ক্রিকেটের অবস্থান, সেখান থেকে দেখে মনে হয় জয় খুব স্বাভাবিক। আরবরা এই ম্যাচে যথেষ্ট ভালো লড়াই করেছে। মোটামুটি সমান সমানই খেলা হয়েছে তবে শেষের দিকে হয়তো আরব আমিরাত আমাদের সাথে হয়তো কুলিয়ে উঠতে পারেনি। তাই সেই কৃতিত্বটা বাংলাদেশের। তবে বলতেই হবে ওরা আমাদের খুব সহজ একটা সময় পার করতে দেয়নি।”
নাহিদ ও রিশাদের অনুপস্থিতি দলকে কিছুটা ভুগিয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে ফাহিম জানান, “না বিষয়টি তা নয়। আমরা সবসময় যে সেরা দলকে নিয়ে খেলবো তা কিন্তু না। যারা খুব ভালো করছে তাদের মধ্যে থেকে কেউ কেউ হয়তো খেলবে না। যারা একটু পিছিয়ে আছে বা রেগুলার খেলার সুযোগ পাচ্ছে না, তাদেরকে ওসুযোগ দেয়া হবে। এতে করে আমাদের বাড়তি ক্রিকেটারদের উন্নতি হবে। যারা সবসময় ভালো খেলছে তারাই যে সবসময় খেলতে পারবে তার কোন গ্যারান্টি নেই। কখনো অসুস্থ থাকতে পারে আবার কখন ফর্ম খারাপ থাকতে পারে। তখন যে প্লেয়ারটা তাদের বদলি হিসেবে আসবে তারা যেন ভালো অবস্থানে থাকে সেটা নিশ্চিত করাটা খুব জরুরি।”