বিফলে গেলো নাসির হোসেনের দুর্দান্ত ইনিংস। সোহানের অনবদ্য ৯৭ রানের পর ইয়াসির আলী রাব্বির অপরাজিত ঝড়ো অর্ধশতকে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব। আগে ব্যাট করতে নেমে নাসির হোসেন ও আসদুল্লাহ আল গালিবের অর্ধশতকে ভর করে নির্ধারিত ওভারের খেলা শেষে ৭ উইকেটে ২৮০ রান সংগ্রহ করে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব। জবাবে সোহান-রাব্বির অর্ধশতকে ৪ ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় ধানমন্ডি।
আরও পড়ুন: ডিপিএলে সেই সন্দেহজনক আউট নিয়ে তদন্তে বিসিবি
বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে এদিন টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ধানমন্ডির অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। বল হাতে ইনিংসের শুরুতেই আঘাত হানে ধানমন্ডির বোলাররা। ওপেনার আব্দুল মজিদ বিদায় নিয়েছেন ১০ রানে ও অমিত মজুমদারে ব্যটে আসে মাত্র ৪ রান। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসাদুল্লাহ আল গালিব ও নাসির হোসেন মিলে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। দুজনে মিলে গড়েন ১৪০ রানের জুটি।

তবে দলীয় ১৫৬ রানে বিদায় নেন নাসির। নি’ষেধাজ্ঞার পর নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে অর্ধশতক হাঁকিয়েই মাঠ ছেড়েছেন এই অলরাউন্ডার। ফলজে মাহমুদ রাব্বির বলে আউট হবার আগে তার ব্যাটে আসে ৮৪ বলে ৭৭ রান। নাসিরের বিদায়ের পরের ওভারেই বিদায় নিয়েছেন গালিব। সানজামুলের বলে বিদায় নেওয়ার আগে তার ব্যাটে আসে ৮০ বলে ৬৫ রান।
শেষ দিকে আরিফুল হকের ২৮ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ওভারের খেলা শেষে ৭ উইকেটে ২৮০ রান সংগ্রহ করে রূপগঞ্জ টাইগার্স। ধানমন্ডির হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট তুলে নিয়েছেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি। ২৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ দারুণ হয় ধানমন্ডির। যদিও দ্রুত রান তুলতে গিয়ে পাওয়ার প্লেতে বিদায় নেন দুই ওপেনার আজমির আহমেদ ও হাবিবুর রহমান।
রূপগঞ্জ টাইগার্সের মতো তৃতীয় উইকেট জুটিতে রান আসে ধানমন্ডিরও। ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও নুরুল হাসান সোহান মিলে তোলে ১০৮ রান। ৪৭ রানে রাব্বি বিদায় নিলেও অধিনায়ক সোহানের ব্যাটে ভর করে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায় ধানমন্ডি। তবে শতক থেকে মাত্র তিন রান দূরে থেকে বিদায় নেন সোহান। তবে ততক্ষণে ম্যাচ জয়ের ভিত গড়ে যায় ধানমন্ডির।
আরও পড়ুন: জ্যোতির সেঞ্চুরি, বোলারদের তা’ন্ডবে উড়ে গেল থাইল্যান্ড
দলকে এরপর জয়ের বন্দরে নিয়ে যান রাব্বি। ৩৮ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই তবে মাঠ ছেড়েছেন রাব্বি। ৪ ওভার বাকি থাকতে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় ধানমন্ডি। এই জয়ে টানা চার ম্যাচ হারের খরা কাটিয়েছে সোহানের দল। ১০ ম্যাচে আট পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান এখন আট নম্বরে। অন্যদিকে সমান সংখ্যক ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে রূপগঞ্জ আছে তালিকার নয় নম্বরে।