এনামুল হক বিজয়ের শতকেও শেষ রক্ষা হলো না গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের। শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচে ১০ রানের জয় পেলো টেবিল টপার আবাহনী। আগে ব্যাট করতে নেমে শাহরিয়ার কমলের ৯৬ রানে ভর করে ২৪৯ রানের সংগ্রহ পায় আবাহনী। জবাবে এনামুল হক বিজয়ের শতক সত্ত্বেও ২৩৯ রানে থামে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ইনিংস।
আরও পড়ুন: রিয়াদ-হৃদয়ের অর্ধশতকে মোহামেডানের দাপুটে জয়
মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে টসভাগ্যটা জিতে নেয় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। তবে বল হাতে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি দলটির। আবাহনীর দুই ওপেনার শাহরিয়ার কমল ও পারভেজ হোসেন ইমন মিলে তুলোধুনো শুরু করেন গাজী গ্রুপের বোলারদের। দুজনে মিলে দলের খাতায় যোগ করেন ১০৭ রান। তবে ব্যক্তিগত ৪৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান ইমন। ওয়াসির করা সেই ওভারে বিদায় নেন জিসান আলমও। উইকেট কিপার ব্যাটার মোহাম্মদ মিঠুনও ব্যাট হাতে রাখতে পারেননি অবদান।

এরপর মেহেরবকে সাথে নিয়ে আরো ৭০ রান যোগ করেন শাহরিয়ার কমল। তবে শতক থেকে মাত্র চার রান দূরে বিদায় নেন কমল। শেখ পারভেজ জীবনের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই ব্যাটার। কমলের বিদায়ের পর তাসের ঘরের মতো ভাঙতে থাকে আবাহনীর ব্যাটিং লাইনআপ। ফলে দশ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায় আবাহনী। ইনিংস শেষ করে ২৪৯ রানে। গাজী গ্রুপের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট পেয়েছেন ওয়াসি। এছাড়া জীবনের ঝুলিতে গেছে তিনটি উইকেট।
আরও পড়ুন: মিরাজের ফাইফারও আটকাতে পারলো না বাংলাদেশের হার
২৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি গাজী গ্রুপের। সাদিকুর রহমান বিদায় নিয়েছে রানের খাতা খোলার আগেই। তবে অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ম্যাচে টিকে ছিলো গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। অন্য প্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিলে মেতে ওঠে বাকি ব্যাটাররা। শামসুর রহমান শুভ ও ওয়াসি সিদ্দিক ভালো শুরু পেলেও বিজয়কে সঙ্গ দিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালাতে পারেননি।

নবম উইকেটে বিজয়ও বিদায় নিলে ম্যাচ হাত থেকে ফসকে যায় গাজী গ্রুপের। আগের ম্যাচেই পঞ্চাশতম শতকের দেখা পাওয়া বিজয়ের ব্যাটে এদিনও আসে ১০৮ রান। তবে শতক পেলেও ম্যাচ হারার আক্ষেপ ভোগাবে বিজয়কে। আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট তুলে নেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। এছাড়া দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন রিপন মন্ডল ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।