মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাওহীদ হৃদয়ের অনবদ্য অর্ধশতকে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। বোলারদের দারুণ নৈপুণ্যে ২২৪ রানেই গুলশানকে অলআউট করে দেয় মোহামেডান। জবাবে অধিনায়ক হৃদয়ের অর্ধশতকে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দলটি।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে এদিন টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়। আগে ব্যাট করতে নেমে রান রান তোলার দিকেই বেশি মনোযোগ দেয় গুলশানের দুই ওপেনার। তবে রান তোলার দিকে নজর দিতে গিয়ে উইকেটে সেট হবার আসল কাজটাই করতে পারেনি নবাগত দলটির ব্যাটাররা।
আরও পড়ুন: মিরাজের ফাইফারও আটকাতে পারলো না বাংলাদেশের হার
টপ অর্ডারে প্রতিটা ব্যাটারই ইনিংসের শুরু করেও উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন সহজেই। নাসুম-নাবিল সামাদ-সাইফুদ্দীনের কল্যাণে একশো রানের আগেই সাজঘরে ফেরেন গুলশানের পাঁচ ব্যাটার। তবে এরপরই দকের হাল ধরেন শাকিল হোসেন। তুলে নেন নিজের অর্ধশতক। তার কল্যাণেই মূলত দুইশো রানের কোটা পেরোতে সক্ষম হয় গুলশান।

শেষ পর্যন্ত শাকিলের ৫৭ রানে ভর করে ২২৪ রানের লড়াই করার পুঁজি পায় গুলশান। মোহামেডানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ টি উইকেট দেন সাইফুদ্দীন। এছাড়া দুটি করে উইকেট পেয়েছেন আবু হায়দার রনি, নাসুম আহমেদ ও নাবিল সামাদ।
মোহামেডানের বিপক্ষে ২২৫ রানের টার্গেট ডিফেন্ড করা মোটেই সহজ কিছু না। তবে তা সত্ত্বেও শুরুটা বেশ ভালোভাবেই করে গুলশান। ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারের মধ্যেই দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও আনিসুল ইসলামকে বিদায় করে গুলশানের বোলাররা। এমন পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরেন মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়। তুষারের সাথে ৪১ রানের জুটি গড়ার পর মাহমুদউল্লাহকে সাথে নিয়ে গড়েন ৯৪ রানের জুটি।

আরও পড়ুন: পিএসএলে তিন ম্যাচ খেলেই ফের রেকর্ড রিশাদের
ব্যাট হাতে হৃদয় ও রিয়াদ দুজনেই পেয়েছেন অর্ধশতকের দেখা। ৮৫ বলে ৬২ রান করে বিদায় নেন হৃদয়। এছাড়া জয়ের থেকে মাত্র চার রান দূরে থেকে আউট হয়ে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। তার ব্যাটে আসে ১০৩ বলে ৭১ রান। এরই সুবাদে ২২ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মোহামেডান।