আবাহনীর বিপক্ষে লিগের সবচেয়ে হেভিওয়েট ম্যাচে শনিবার (১২ এপ্রিল) মাঠে নামবে মুশফিক-হৃদয়ের মোহামেডান। তবে এমন ম্যাচে অধিনায়ক তামিম ইকবালকে পাচ্ছে না টেবিলের দুই নম্বরে থাকা দলটি। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) মিরপুরে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে গিয়ে মোহামেডানের কোচ আনোয়ার জানান তামিমকে মিস করছেন তারা। তবে দলের বাকি খেলোয়াড়রাও ম্যাচ জেতার জন্য যথেষ্ট বলে মনে করেন আনোয়ার।
আরও পড়ুন: ঐতিহ্যের ম্যাচে শান্তর প্রত্যাশা—আবারও গ্যালারীতে বাড়ুক দর্শক
মোহামেডানের এই কোচ বলেন, “তামিম তো আমাদের জন্য অনেক বড় সাপোর্ট। একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে তার এবিলিটি, তার অভিজ্ঞতা আমাদের অনেক সাহায্য করেছে। মাঠের ভেতরে ও বাইরে সব জায়গা যে ইনভলভ থাকে। মিস তো অবশ্যই করছি, তবে আমাদের বাকি যারা আছে তারা ম্যাচ জেতার জন্য যথেষ্ট।” ম্যাচের আগে তামিমের সাথে আলাদা করে হয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আনোয়ার বলেন, “না তামিমের সাথে ওইভাবে কথা হয়নি। ওর সিচুয়েশন তো আসলে এমন না। হয়তো ম্যানেজমেন্টের সাথে কথা হলেও হতে পারে।”

আবাহনীর জার্সি গায়ে বেশ অনেক দিন ধরেই খেলেছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দীন ও তাওহীদ হৃদয়। তবে এবার অবশ্য দল বদলে দুজনেই খেলছেন মোহামেডানের হয়ে। নিজেদের পূর্ববর্তী ক্লাবে খেলা নিয়ে খেলোয়াড়দের মধ্যে বাড়তি উত্তেজনা আছে কিনা সেটা নিয়ে মোহামেডানের কোচ বলেন, “এটা একটা ম্যাচ। আবাহনী বলে বাড়তি উত্তেজনার মধ্যে আমরা যেতে চাচ্ছি না। যেভাবে আমরা খেলে আসছি আমরা সেভাবেই খেলতে চাই।”
আরও পড়ুন: নাসিরকে ফের জাতীয় দলে দেখতে চান সোহরাওয়ার্দী শুভ
আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ নিয়ে ঢাকার ক্রিকেটে উত্তাপ কম না। এবারের ডিপিএলে দুদলই আছে দুর্দান্ত ছন্দে। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে আবাহনী ও ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে মোহামেডান। আবাহনীর বিপক্ষে জিততে পারলে শিরোপার লড়াই জমে উঠবে আরো বেশি। মোহামেডেনের এই কোচ বলেন, “আমরা তো কাগজে কলেমে এর থেকে বেটার দলের বিপক্ষেও খেলছি। আমাদের নিজেদের উপর বিশ্বাস আছে। আমাদের তরুণ-অভিজ্ঞ সব ধরনের খেলোয়াড়ই আছে। সবাই যদি সবার যোগ্যতা অনুযায়ী খেলতে পারে তাহলে আবাহনী হোক বা যেই হোক না আমাদের কাছে জেতা কোনো ইস্যু না।”

ক্রিকেটারদের পাশাপাশি এই ম্যাচ নিয়ে উত্তাপ থাকে সাধারণ ভক্ত-সমর্থকদেরও। এ ব্যাপারে আনোয়ার জানান, “আগে খেলাগুলো আন্তর্জাতিকভাবে এতো টেলিকাস্ট হতো না। তখন আমাদের দর্শকদের কাছ দেখার মতো এই খেলাগুলোই ছিলো। তবে এখন এতো বেশি ম্যাচ সম্প্রচার হয় যে ওইভাবে দর্শকদের মধ্যে মাঠে আসার আগ্রহ নেই। তবে মানুষ এখনো এগুলো নিয়ে খোঁজ-খবর রাখছে। খেলোয়াড়দের কাছে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ মানেই অনেক বড় এক এচিভমেন্ট। এটা সবসময় একটা উত্তেজনাকর ম্যাচ। আগেও যেমন এই ম্যাচে উত্তেজনা ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।”