তাওহীদ হৃদয়কে ডিপিএলের খেলানোর সুযোগ করে দেয়ার জন্য নীতিমালায় পরিবর্তন এনেছে বিসিবি। বোর্ডের এমন একপাক্ষিক সিদ্ধান্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে ক্রিকেট পাড়ায় সমালোচনার ঝড় বইছে সর্বত্র। তবে এরই মাঝে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য দিলেন মোহামেডানের সিনিয়র ক্রিকেটার রনি তালুকদার। জানালেন হৃদয়ের দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার কথা জানতেন না মোহামেডানের খেলোয়াড়েরা।
আরও পড়ুন: আলোক স্বল্পতায় স্থগিত ফেডারেশন কাপের ফাইনাল
আম্পায়ারের সাথে অসদাচরণের জেরে দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় হৃদয়কে। তবে তা সত্ত্বেও সুপার লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামে মোহামেডানের এই অধিনায়ক। খেলোয়াড়রা এব্যাপারে জানতেন কিনা মিরপুরে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে রনি বলেন, “যেটা বললেন যে দুই ম্যাচের ব্যান সেটা কিন্তু আমি জানি না। এটা সম্পূর্ণ ক্লাব ও বিসিবি জানে। আমরা যারা দলে খেলছি তারা জানি ও এক ম্যাচ ব্যান হয়েছে। আরেকটা শাস্তি হতে পারে এমনটা শুনেছি। তবে দুই ম্যাচ যে ব্যান হয়েছে এটা আমরা জানি না। হ্যা হয়তো কোচ জানতে পারে, ম্যানেজার জানতে পারে, ক্লাব জানতে পারে। তবে আমরা খেলোয়াড়রা এই ব্যাপারে চিন্তাও করিনি, আমরা জানিও না।”
হৃদয়ের দলে ফিরে আসাটাকে অবশ্য বেশ ইতিবাচকভাবেই দেখছেন রনি। তিনি বলেন, “হ্যা সেটা তো অবশ্যই। হ্রদয়ের মতো খেলোয়াড় দলে থাকা অনেক বড় এক পাওয়া। কারণ ও দলে থাকলে সবারই আত্মবিশ্বাস ভালো থাকে। আর এটা তো জানেনই যে ও আমাদের দলে এখন সেরা ক্রিকেটার। ওকে পাওয়ার পর থেকেই খেলোয়াড়রা চাঙ্গা আছে।”
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের পর র্যাংকিংয়েও উন্নতি টাইগ্রেসদের
সুপার লিগে প্রতিটি ম্যাচই এখন গুরুত্বপূর্ণ মোহামেডানের জন্য। আবাহনীর থেকে দুই পয়েন্ট পেছনে থাকা মোহামেডানের চিন্তা তাই শুধু জয়ের দিকে। সেই সাথে জাতীয় দলের এক ঝাঁক তারকা ন্যাশনাল ডিউটিতে গেলেও দলের সেটার প্রভাব নেই মনে করেন রনি। তিনি বলেন, “প্রতিটি পয়েন্টই এখন আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এখন তিনটা ম্যাচ নিয়ে আমরা চিন্তা করছি না। আমরা শুধু মাত্র দুই পয়েন্টের চিন্তা করতেছি। যারা দল থেকে গেছে সবাই জাতীয় দলের দায়িত্বেই গিয়েছে। এখন আমাদের দলে কিছু খেলোয়াড় যোগ দিয়েছে, তুষার, নাবিল সামাদ ভাই,ফরহাদ হোসেন, সব কিছু মিলিয়ে এখন ভালোই আছে।”
লিগের মানেও বেশ পরিবর্তন দেখছেন রনি। প্রতিটি ম্যাচেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকায় লিগ জমে উঠেছে বলেও মত এই ক্রিকেটারের। তিনি বলেন, “প্রতিটা দলই কিন্তু এখন ভালো ক্রিকেট খেলছে। আগে কিন্তু আপনারা বলে দিতে পারতেন কোন দল সুপার লিগে খেলবে, চ্যাম্পিয়ন হবে। এখন কিন্তু আপনারা বলতে পারছেন না কে চ্যাম্পিয়ন হবে। দেখা গেছে যাদের নিয়ে আপনারা আশাই করেননি তারা সুপার লিগ খেলতেছে। তো সব মিলিয়ে লিগ বেশ ভালোই হচ্ছে।”