কপাল পুড়লো তাওহীদ হৃদয়ের! কপাল পুড়লো মোহামেডানেরও। লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে জয়ের সুবাদে শিরোপার স্বপ্ন দেখছিলো মোহামেডান শিবির। তবে মুশফিক-মিরাজদের সেই স্বপ্ন এখন কিছুটা হলেও ফিকে হয়েছে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাঠের বাইরে আছেন নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল, দায়িত্ব পড়েছিলো তাওহীদ হ্রদয়ের উপর। এবার সেই হৃদয়কেও সুপার লিগের মহাগুরুত্বপূর্ণ দুই ম্যাচে পাচ্ছে না মোহামেডান। আম্পায়ারের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার জেরে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে তারকা এই ব্যাটারকে।

আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ মানেই যেন বাড়তি এক উত্তাপ। মাঠ ও মাঠের বাইরে যেই উত্তাপের বহু অধ্যায়ের সাক্ষী হয়েছে দেশের ক্রিকেট। শনিবার (১২ এপ্রিল) সেই অধ্যায়ে যোগ হয়েছে নতুন আরেক ঘটনা। তবে এবার অবশ্য আবাহনী-মোহামেডান নয়, বরং উত্তাপ ছড়িয়েছেন মোহামেডানের অধিনায়ক ও ম্যাচ অফিশিয়ালরা।
আরও পড়ুন: জয় দিয়ে লিগপর্ব শেষ করলো অগ্রণী-গাজী-পারটেক্স
ঘটনার সূত্রপাত আবাহনীর ব্যাটিং ইনিংসের অষ্টম ওভারে। ক্রিজে তখন ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। ইবাদতের করা সেই ওভারের প্রথম বল মিঠুনের প্যাডে লাগলে সজোরে আবেদন জানান মোহামেডানের ক্রিকেটাররা। তবে দায়িত্বরত অনফিল্ড আম্পায়ার তানভীর আহমেদ আবেদনটি নাকচ করলে তাৎক্ষণিকভাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়। এক সময় হৃদয় আইসিসির এলিট প্যানেলভুক্ত আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের সাথে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে যান।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ম্যাচ শেষে হৃদয়কে শাস্তি প্রদান করেন ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ রাহুল। এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার সাথে তার নামের পাশে যোগ হয় চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট। তবে ঘটনা সেখানে থেমে থাকেনি। ম্যাচ পরবর্তী সময়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় আম্পায়ারদের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন হৃদয়। এমনকি ঘটনা ভিন্ন খাতে গড়ালে মুখ খোলার হুমকিও এসেছে হৃদয়ের কাছ থেকে।
আরও পড়ুন: চিরকুটেই লুকিয়ে ছিল অভিষেকের প্রতিজ্ঞা
আইসিসির আচরণবিধি অনুযায়ী ম্যাচ পরবর্তী সময়ে হৃদয়ের এমন মন্তব্য লেভেল ২ এর ২.৮ ধারার অন্তর্ভুক্ত। যার ফলে ম্যাচ রেফারির কাছে ম্যাচ শেষ হবার ৩৬ ঘন্টার মধ্যে দ্বিতীয় রিপোর্ট প্রদানের সুযোগ থাকে। সেই নিয়ম মেনেই রবিবার (১৩ এপ্রিল) ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ তার দ্বিতীয় রিপোর্টে হৃদয়ের ম্যাচ পরবর্তী এমন মন্তব্যকে অশোভন, অশালীন ও আম্পায়েরের প্রতি অবমাননাকর উল্লেখ করেছেন। সেই সাথে তার নামের পাশে আরো চার পয়েন্ট যোগ করেছেন।

নিয়ম অনুযায়ী আট ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হওয়ায় হৃদয়ের শাস্তি বেড়ে দাঁড়াতে পারে দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞায়। সেই সাথে আর্থিক জরিমানা হিসেবে গুণতে হবে ৮০ হাজার টাকা। হৃদয় অবশ্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন। সেক্ষেত্রে শাস্তি কিছুটা কমে আসারও সুযোগ রয়েছে। তবে আপাতদৃষ্টিতে সুপার লিগের ম্যাচের আগে বেশ বড়সড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে থাকা মোহামেডান।