লিজেন্ডস অফ রুপগঞ্জের বিপক্ষে জয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার আরো কাছে চলে গেলো শক্তিশালী আবাহনী লিমিটেড। সুপার লিগে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতে পারভেজ হোসেন ইমন ও জিসান আলমের অসাধারণ দুই ইনিংসে সাত উইকেটের জয় পায় আবাহনী।
আরও পড়ুন: শুধু মুশফিক না, রান করতে হবে সবার: জাকের
বিকেএসপি’র চার নম্বর মাঠে এদিন টস ভাগ্যটা জিতে নেয় আবাহনী। টসে জিতে লিজেন্ডস অফ রুপগঞ্জকে আগে ব্যটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান আবাহনীর অধিনায়ক সৈকত। তবে ব্যাট হাতে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি লিজেন্ডস অফ রুপগঞ্জের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই বিদায় নেন তানজিদ হাসান তামিম। সৌম্য সরকারও কাটা পড়েন সৈকতের পাতানো ফাঁদে। দুই ব্যাটারই মাঠ ছেড়েছেন দুই অঙ্কে পৌঁছানোর আগেই।

সেট হয়েও উইকেট দিয়ে এসেছেন সাইফ হাসান। ৪১ বলে ২৮ রান করা এই ব্যাটার বিদায় নিয়েছে রাকিবুল হাসানের বলে। সিনিয়র ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে আফিফও এক রানের বেশি করতে পারেননি। এরপর অবশ্য প্রতিরোধ গড়ে তোলে আকবর আলী ও মেহেদী মারুফ। দলীয় ১১৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আকবর। শেষ হয় তার ৩৫ রানের ইনিংস। মেহেদী মারুফ অবশ্য দেখেশুনেই খেলছিলেন। তবে মাহফুজুর রাব্বির বলে অর্ধশতক থেকে মাত্র দুই রান দূরে থেকে বিদায় নেন মারুফ।
আরও পড়ুন: শেকড়ের টানেই জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলছেন বেন কারান
শেষ দিকে চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৪০ ও শরীফুল ইসলামের ২৩ বলে ৩৪ রানে ভর করে নির্ধারিত ওভারের খেলা শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৫ রান সংগ্রহ করে রুপগঞ্জ। আবাহনীর হয়ে ৪১ রান খরচায় সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন অধিনায়ক সৈকত। এছাড়া রাকিবুল ইসলামের ঝুলিতে গেছে তিনটি করে উইকেট।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ঝড়ো গতিতে খেলতে থাকেন ওপেনার শাহরিয়ার কমল। ব্যাট হাতে একের পর এক চার-ছক্কায় ইনিংসের গোড়াপত্তন করেন এই ব্যাটার। তবে ২০ বলে ৩২ রান করে শেখ মেহেদী হাসানের শিকার হয়ে ফেরত গেছেন কমল। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতেও রানরেটের দিকে তাকিয়েই খেলতে থাকেন জিসান ও ইমন। দুজনেই তুলে নেন নিজেদের ফিফটি।
আরও পড়ুন: ভুলটা নিজেদেরই মানছেন জাকের
ব্যক্তিগত ৭৩ রানে বিদায় নেন ইমন। জিসানও ফিরে গেছেন ৬৩ রানে। তবে এই দুই ব্যাটার প্যাভিলিয়নে ফিরলেও মেহেরব হাসান ও মোহাম্মদ মিঠুন ঠিকই দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। ৭৫ বল বাকি থাকতে মাত্র তিন উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আবাহনী। এই জয়ে শিরোপা জয়ের আরো একধাপ কাছে চলে এলো আকাশী-নীল শিবিররা। শেষ ম্যাচে মোহামেডানের বিপক্ষে জয় পেলেই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাবে আবাহনীর। তবে মোহামেডানের বিপক্ষে ম্যাচ হারলে হেড টু হেডে পিছিয়ে পড়ে শিরোপা হাতছাড়া হয়ে যাবে সৈকত-ইমনদের।