ডিপিএলের সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে সেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে পারলেন না ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। তামিম-মুশফিকদের মোহামেডানের কাছে সোহানের ধানমন্ডি হেরেছে ২৩ রানের ব্যবধানে। তাওহীদ হৃদয়ের অপরাজিত ৫৩ রানে ভর করে নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভারে ২১৬ রান সংগ্রহ করে মোহামেডান। ২১৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৯৩ বলে ১০০ রান করেও দলকে জয়ের বন্দরে পৌছাতে পারেননি সোহান। সাইফুদ্দীনের বলে হৃদয় দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরলে বৃথা যায় সোহানের প্রচেষ্টা। ১৯৩ রানেই অলআউট হয়ে যায় ধানমন্ডির ক্লাবটি।
দিনের শুরুতে টস জিতে আগে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় ধানমন্ডি। আবহাওয়াকে কাজে লাগিয়ে সকাল বেলায় মোহামেডানদের ব্যাটারদের রান তোলাটাই কঠিন করে তোলে ধানমন্ডির বোলাররা। ইনিংসের ৩১ তম ওভারে মোহামেডানের দলীয় শতকে পৌছানো সেটারই প্রমাণ। তবে শেষ দিকে এসে ৪৭ বলে হৃদয় ৫৩ রান করলে ২১৬ রানের পুঁজি পায় তামিমের দল। ধানমন্ডির হয়ে তিনটি উইকেট নেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নুরুল হাসান সোহান ছাড়া কেউই সুবিধা করতে পারেননি। সোহানের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান এসেছেন হাবিবুর রহমানের ব্যাট থেকে।

এদিকে নাইম শেখের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৯ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। বিকেএসপির তিন নাম্বার মাঠে এদিন টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক ইরফান শুক্কুর। বল হাতে শুরু থেকেই শাইনপুকুরের ব্যাটারদের ঘুম হারাম করে তোলে শফিকুল ইসলাম-নাজমুল হোসেন অপুরা। তাদের বোলিং তোপে খুব একটা সুবিধা করতে না পারা শাইনপুকুরের ইনিংস শেষ হয় মাত্র ১৫৯ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান আসে ফারজান আহমেদের ব্যাট থেকে। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন শফিকুল ও অপু।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচ জেতার বেশ তাড়া ছিলো প্রাইম ব্যাংকের দুই ওপেনারের। বিশেষ করে নাইম শেখ শাইনপুকুরের বোলারদের তুলোধুনো করেই ক্ষান্ত হয়েছেন। মাত্র ৬৩ বলেই পৌছে যান তিন অংকের ম্যাজিকাল ফিগারে। শেষ পর্যন্ত নাইমের ৬৪ বলে অপরাজিত ১০৪ ও সাব্বির হোসেনের ৪৮ বলে ৪৭ রানে ভর করে ১৭৯ বল হাতে রেখে নয় উইকেটের জয় পায় প্রাইম ব্যাংক।
অন্যদিকে দিনের অপর ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে জয় পেয়েছে শক্তিশালী আবাহনী লিমিটেড। পিচ এবং আউটফিল্ড খেলার উপযোগী করতে দেরী হওয়ায় টেবিলের দুই শীর্ষ দলের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩৬ ওভারে। টস হেরে শুরু থেকেই ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকে গাজী গ্রুপের ক্রিকেটার্সরা। প্রথম দশ ওভারেই ৭৩ রানে পৌছে যায় এনামুল হক বিজয়রা। যদিও ততক্ষণে তিন উইকেট তুলে চাপটা বজায় রাখে আবাহনী। অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ৬৮ রানে ও ওয়াসি সিদ্দিক ৪২ রানে বিদায় নিলে দুইশো থেকে মাত্র এক রানে থামে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ইনিংস। আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন মমিনুল হক।
আবাহনীর ইনিংসের শুরুটাও খুব একটা ভালো হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ১৬ রান তুলতেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে শান্ত বাহিনী। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোহাম্মদ মিঠুন ১৩১ রানের জুটি গড়লে ম্যাচের লাগাম টেনে ধরে আবাহনী। তবে ব্যক্তিগত ৭৬ রানে মিঠুন ও ৪৩ রানে শান্ত বিদায় নিলে কিছুটা চাপে পড়ে যায় আকাশী-নীলরা। শেষ পর্যন্ত বল হাতে ম্যাচের নায়ক মমিনুল হক ব্যাট হাতেও দৃঢ়তা দেখালে ৬ বল বাকি থাকতে দুই উইকেটের জয় পায় আবাহনী।