বৃহস্পতিবার, জুন ২৬, ২০২৫
সামি'স কর্নার

নাসুমের কল্যাণে শিরোপায় লড়াইয়ে টিকে রইলো মোহামেডান

অবিশ্বাস্য, অকল্পনীয়! তীরে এসে ডুবতে যাওয়া মোহামেডানের তরী বাঁচিয়ে দিলেন নাসুম আহমেদ। সাধারণত বল হাতে ম্যাচের ঘোর মুড়িয়ে দেওয়া নাসুম এদিন দলকে জেতালেন ব্যাট হাতে। শেষ দুই বলে যখন মোহামেডানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ৭ রান, তখন এক ছক্কা ও এক সিংগেলে জয়ের কাব্য লিখলেন বাহাতি এই ক্রিকেটার। আর তাতেই শিরোপার লড়াইয়ে এখনো টিকে রইলো তাওহীদ হৃদয়ের দল।

আরও পড়ুন: গুলশানকে হারিয়ে সুপার লিগে অগ্রণীর প্রথম জয়

মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন মহাগুরুত্বপূর্ণ টসটি জিতেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। কাল বিলম্ব না করেই স্পিন ট্র‍্যাকে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত জানান গাজী গ্রুপের অধিনায়ক সালমান হোসেন ইমন। ব্যাট হাতে শুরু থেকেই বেশ দেখে শুনে খেলতে থাকেন গাজী গ্রুপের দুই ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার ও সাদিকুর রহমান। যদিও পাওয়ার প্লের একদম শেষ বলে সাইফুদ্দীনের শিকার হয়ে ফেরত যান সাদিকুর।

সাদিকুর বিদায় নিলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে গাজী গ্রুপের ইনিংস সামাল দিচ্ছিলেন মুনিম শাহরিয়ার। স্পিন ট্র‍্যাকে যখন বাকি ব্যাটাররা গোটা দিনে খাবি খেয়েছে তখন মুনিমের ব্যাট হেসেছে বেশ দারুণভাবে। ৮২ বলে ৮০ রান করে গাজী গ্রুপের ইনিংসের ভিত দাঁড় করিয়েছেন এই মুনিমই।

আরও পড়ুন: রান তুলতে ঝুঁকি নিতেই হয়, জাকেরের স্পষ্ট জবাব

তবে মুনিমের বিদায়ের পর অবশ্য বাকি ব্যাটাররা মেতে ওঠে আসা-যাওয়ার মিছিলে। তাহজিবুল ইসলাম ও শেখ পারভেজ জীবন কিছুটা লড়াই চালানোর চেষ্টা করলেও মুস্তাফিজ-সাইফুদ্দিনের বোলিং তোপে সেটাও আর করা হয়নি এই দুই ব্যাটারের। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারের খেলা শেষে ২৩৬ রানে গিয়ে থামে গাজী গ্রুপের ইনিংস। মোহামেডানের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন সাইফুদ্দিন ও মুস্তাফিজুর রহমান।

নাসুমের ঝড়ের আগে বল হাতে তান্ডব চালান মুস্তাফিজ,

জবাবে ব্যাট করতে নেনে শুরুতেই বিদায় নেন আনিসুল ইসলাম। তৌফিক খান তুষারও ১৪ রান করে শামির মিয়ার বলে ফিরে গেছেন প্যাভিলিয়নে। অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয় ও রনি তালুকদার মিলে এরপর গড়েন ৭৫ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ৫৫ রানে বিদায় নেন রনি। হৃদয়ও সেট হয়ে নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। ওয়াসি সিদ্দিকের বলে আউট হবার আগে তার ব্যাটে এসেছে ৩৭ রান।

আরও পড়ুন: রুপগঞ্জকে হারিয়ে শিরোপা থেকে একধাপ দূরে আবাহনী

তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাকে সঙ্গ দেওয়ার কাজটা করছিলেন সাইফুদ্দীন। তবে রিয়াদের বিদায়ের পরই দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে মোহামেডান শিবিরে। শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলো ২৮ রান। সেখান থেকে নাসুমের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মোহামেডান। ১৩ বলে নাসুমের ২১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসে শিরোপার লড়াইয়ে এখনো টিকে আছে সাদা-কালো শিবির। শেষ ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে কার্যত ফাইনালে জিততে পারলেই শিরোপা উঁচিয়ে ধরবে হৃদয়-রিয়াদরা।

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর