নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফেরার দিনে বল হাতে এক উইকেট পেলেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন নাসির। তবে তা সত্ত্বেও ম্যাচ জিতেছে তার দল রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে আট উইকেটের জয় পেয়েছে রূপগঞ্জ টাইগার্স। দিনের অপর খেলায় ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে চার উইকেটের জয় পেয়েছে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
আরও পড়ুন: নাম থাকলে বদনামও থাকবে, বললেন নাসির
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রূপগঞ্জ টাইগার্সের অধিনায়ক আল-আমিন জুনিয়র। ম্যাচের শুরু থেকেই গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে বল হাতে দাপট দেখাতে থাকে রূপগঞ্জ টাইগার্সের বোলাররা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার সাদিকুরকে বিদায় করেন মহিউদ্দিন তারেক। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ও বিদায় নিয়েছেন মাত্র ১০ রান করে।

পাওয়ার প্লেতে আরো দুই উইকেট হারালে চাপে পড়ে যায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। সেখান থেকে শামীম মিয়া ও গাজী মো: তাহজিবুল ইসলাম মিলে দলের খাতায় যোগ করেন ৪১ রান। তবে শামীমের বিদায়ের পর তাসের ঘরের মতো ভাঙতে শুরু করে বিজয়দের ব্যাটিং লাইনআপ। শেষ উইকেট জুটিতে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও মো: আবু হাসিম মিলে ৩০ রান যোগ করলে ১৫৯ রানের পুঁজি পায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। রূপগঞ্জ টাইগার্সের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট তুলে নেন মহিউদ্দিন তারেক। এছাড়া ফয়সাল ও মেহেদী মিলে নেন দুইটি করে উইকেট।
আরও পড়ুন: তামিমের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে উড়ে গেল পারটেক্স
জবাবে ব্যাট করতে নেমে আব্দুল মজিদ ও অমিত মজুমদারের ওপেনিং জুটিতেই ম্যাচ জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় রূপগঞ্জ টাইগার্স। দুজনে মিলে গড়েন ১৩৮ রানের জুটি। তবে ৭৯ বলে ৫৩ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান মজিদ। অমিতও ফিরে যান পরের ওভারে। ৯৮ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৭৬ রান আসে অমিতের ব্যাট থেকে। বল হাতে এক উইকেট নেওয়া নাসির ব্যাট হাতে ছিলেন ব্যর্থ। সাকলাইনের বলে ৯ রান করে বিদায় নেন এই অলরাউন্ডার। তবে এরপর আর কোনো উইকেট হারায়নি রূপগঞ্জ। ৮ উইকেট হাতে রেখেই তুলে নেয় আসরের দ্বিতীয় জয়।

এদিকে তাইবুর রহমানের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দিনের অপর খেলায় ম্যাচ জিতেছে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। আগে ব্যাট করতে নেমে তাইবুরের বোলিং তোপে ৮৯ রানেই ৫ উইকেট হারায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন। তবে সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন সোহাগ গাজী ও অলক কাপালি। আটে নেমে ৫৭ বলে ৫৮ রান আসে কাপালির ব্যাট থেকে। সোহাগ গাজীর ব্যাট থেকে আসে ৩৫ বলে ৩৪ রান। আর তাতে করে নির্ধারিত ওভারের খেলা শেষে ৯ উইকেটে ২৩৮ রান সংগ্রহ করে ব্রাদার্স। অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট তুলে নেন তাইবুর রহমান।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জের হয়ে আবারও মাঠে ফিরলেন নাসির
২৩৯ রানের লক্ষ্যে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যাটাররা ভালো শুরু পেলেও নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারছিলো না। ইমরানুজ্জামানের ব্যাটে আসে ২১ রান। আরেক ওপেনার সাদমান বিদায় নিয়েছেন ৪৪ রান করে। অমিত হাসান-ইমরুল কায়েসরাও এগোতে পারেননি বেশি দূর। তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে মার্শাল আইয়ুব ও তাইবুর রহমানের ৪৭ রান যোগ করার পর ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে তাইবুর ও শুভাগত হোম যোগ করেন ৪৮ রান। আর তাতে করে আট বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। ৩৫ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন শুভাগত হোম। এছাড়া মার্শাল আইয়ুবের ব্যাটে আসে ৪১ ও তাইবুর করেন ৩৫ রান।