বৃহস্পতিবার, জুন ২৬, ২০২৫
সামি'স কর্নার

বাটলার ঝড়ে দিল্লির বিপক্ষে গুজরাটের ইতিহাস

বাটলার ঝড়ে ইতিহাস রচনা করলো গুজরাট টাইটান্স। আইপিএলের সব আসর মিলিয়েও যেই কীর্তি গড়তে পারেনি কেউ সেটাই এবার করে দেখালো গুজরাট। দিল্লির দেওয়া ২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করলো চার বল ও সাত উইকেট হাতে রেখে। আর প্রথমবারের মতো দুইশোর বেশি রান করেও ম্যাচ হারতে হলে রাজধানীর এই ফ্র‍্যাঞ্চাইজিটিকে।

আরও পড়ুন: মুলতানকে হারিয়ে শীর্ষে উঠতে চান রিশাদ

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে বল করার সিদ্ধান্ত নেন স্বাগতিক দলের অধিনায়ক শুভমান গিল। ব্যাট হাতে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে থাকে টেবিলের এক নম্বরে থাকা দিল্লি। চার-ছক্কার পসরা সাজিয়ে পাওয়ার প্লেতেই ৭৩ রান তুলে ফেলে আক্সার বাহিনী। যদিও দ্রুত রান তোলার তাগিদে অভিষেক পোরেল ও লোকেশ রাহুলের উইকেট হারায় সফরকারীরা। সমান ২০০ স্ট্রাইকরেটে পোরেলের ব্যাটে আসে ১৮ রান ও রাহুল করেন ২৮ রান।

অধিনায়ক আক্সারের সাথে জুটি বাধলেও ব্যক্তিগত ৩১ রানে বিদায় নিয়েছেন করুন নায়ারও। নায়ারের বিদায়ের পর ট্রিস্টান স্টাবসকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখার কাজ করতে থাকেন অধিনায়ক আক্সার। দুজনে মিলে গড়েন ম্যাচের সর্বোচ্চ ৫৩ রানের জুটি। তবে এদিন অবশ্য নিজেদের ইনিংস খুব একটা বড় করতে পারেনি দিল্লির ব্যাটাররা। ত্রিশের ঘরেই বিদায় নিতে হয়েছে দিল্লির চার ব্যাটারকে।

আরও পড়ুন: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অতীত পরিসংখ্যান কথা বলছে বাংলাদেশের পক্ষে

শেষ পর্যন্ত আশুতোষ শর্মার ১৯ বলে ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে দুইশো পেরোতে সক্ষম হয় সফরকারীরা। নির্ধারিত ওভারের খেলা শেষে তাদের ইনিংস শেষ হয় ৮ উইকেটে ২০৩ রানে। গুজরাটের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট তুলে নেন প্রাসিধ কৃষ্ণা।

আইপিএলের মঞ্চে প্রথম ইনিংসে দুইশো রান করে কখনোই হারেনি দিল্লি। গুজরাটের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে তাই ফেভারিট ছিলো সফরকারীরাই। তবে জস বাটলারের তান্ডবের কাছে টিকতে পারেনি দিল্লির বোলাররা। ইনিংসের শুরুতেই রান আউটের ফাদে কাটা পড়ে বিদায় নেন গুজরাটের অধিনায়ক শুভমান গিল। তবে অধিনায়কের দ্রুত বিদায় সত্ত্বেও বড় লক্ষ্যের কথা মাথায় রেখে দ্রুত রান তুলতে থাকেন জস বাটলার ও সাই সুদর্শন।

আরও পড়ুন: রেকর্ড বেতনে ইউরোপ সেরা ভ্যান ডাইক, বিশ্বে কে?

ইনিংসের অষ্টম ওভারে বিদায় নেন সুদর্শন। ২১ বলে ৩৬ রান করা এই ব্যাটার কুলদীপের বলে ক্যাচ তুলে দেন ট্রিস্টান স্টাবসের হাতে। এরপর জস বাটলার ও শেরফান রাদারফোর্ড মিলে তুলোধুনো শুরু করে দিল্লির বোলারদের। দুজনে মিলে যোগ করেন ১১৯ রান। ৬৯ বলে ১১৯ রান করে দলকে একেবারে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান এই দুই ব্যাটার।

জয় থেকে ১১ রান দূরে থাকা অবস্থায় বিদায় নেন রাদারফোর্ড। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দশ রান প্রয়োজন হলে এক ছয় ও এক চারে জয় এনে দেন রাহুল তেওয়াতিয়া। চার বল ও সাত উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় স্বাগতিকরা। দল জয় পেলেও সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন বাটলার। শতক থেকে মাত্র তিন রান কমে অপরাজিত ছিলেন এই ইংলিশ ব্যাটার।

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর