টানা দুই ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেলো রাজস্থান রয়্যালস। চেন্নাই সুপার কিংসকে ঘরের মাঠে তারা হারিয়েছে ৬ রানের ব্যবধানে। নিতিশ রানার অনবদ্য ৮১ রানে ভর করে চেন্নাইয়ের সামনে ১৮৩ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায় চেন্নাই। জবাবে অধিনায়ক রুতুরাজ গাইকোয়াডের অর্ধশতক সত্ত্বেও লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ১৭৬ রানেই শেষ চেন্নাইয়ের ইনিংস।
আরও পড়ুন: সিদ্ধান্ত জানাতে দুই সপ্তাহ সময় চাইলেন সামিত
গৌহাটিতে দিনের দ্বিতীয় খেলায় টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক রুতুরাজ গাইকোয়াড। বল হাতে শুরুটাও বেশ দারুণ হয় সফরকারীদের। রাজস্থানের ওপেনার ইয়শাসভি জয়সওয়ালকে ইনিংসের তৃতীয় বলেই বিদায় করেন খলিল আহমেদ। তবে তিনে নেমে নিতিশ রানা বদলে দেন ম্যাচের চিত্রপট। সাঞ্জু স্যামসনকে সাথে নিয়ে পাওয়ার প্লে জুড়ে তান্ডব চালান চেন্নাইয়ের বোলারদের উপর।
একের পর এক চার-ছক্কায় পেস কিংবা স্পিন সুবিধা করতে পারছিলো না কেউই। ম্যাচের ৬ষ্ঠ ওভারেই অর্ধশতকে পৌছে যান রানা। ফিফটিতে পৌঁছাতে তিনি বল খরচ করেছেন মাত্র ২১ টি। প্রথম ওভারে উইকেট হারানো সত্ত্বেও রানার এই ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে রাজস্থানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৭৯ রান।
পাওয়ার প্লের পর অবশ্য রানের চাকায় লাগাম টেনে ধরে চেন্নাইয়ের বোলাররা। বিশেষ করে নূর আহমেদ ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের স্পিন জুটিতে কুপোকাত হয় রাজস্থানের ব্যাটাররা। স্যামসন তো ইনিংসের ৮ম ওভারে নূর আহমেদের বলে বিদায় নিয়েছেন ১৬ বলে ২০ রান করে। নিজের শেষ ওভারে এসে একাধিক বাউন্ডারি হজম করলেও রানার উইকেট ঠিকই তুলে নেন অশ্বিন। ৩৬ বলে ৮১ রান করে বিদায় নেন এই ব্যাটার।
আরও পড়ুন: এমবাপের জোড়া গোলে নাটকীয় জয় রিয়াল মাদ্রিদের
রানার বিদায়ের পর রানের ধারা ধরে রাখতে পারেনি স্বাগতিকদের কেউই। সবাই যেন মেতেছে আসা-যাওয়ার মিছিলে। শেষ পর্যন্ত মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় নির্ধারিত ওভারের খেলা শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান সংগ্রহ করে রাজস্থান। চেন্নাইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ দুইটি করে উইকেট তুলে নেন খলিল আহমেদ, নূর আহমেদ ও মাথিশা পাথিরানা।
১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাইয়ের শুরুটাও হয়েছে নড়বড়ে। স্কোরবোর্ডে কোনো রান না তুলতেই বিদায় নিয়েছেন রাচিন রবীন্দ্র। এরপর রাহুল ত্রিপাঠিকে নিয়ে দেখে শুনে পাওয়ার প্লেতে খেলতে থাকেন অধিনায়ক রুতুরাজ গাইকোয়াড। দুজনে মিলে প্রথম ৬ ওভারে দলের খাতায় যোগ করেন ৪২ রান। তবে ইনিংসের অষ্টম ওভারে ১৯ বলে ২৩ রান করে বিদায় নেন রাহুল ত্রিপাঠি।
চারে নেমে শিভম দুবে কিছুটা আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা চালালেও হাসারাঙ্গার বলে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান। বিজয় শংকরও বিদায় নেন দুই অংকের ঘরে পৌঁছানোর আগেই। চেন্নাইয়ের হয়ে লড়াইটা একাই চালাচ্ছিলেন ৩৭ বলে অর্ধশতক হাঁকানো অধিনায়ক গাইকোয়াড। তবে ৪৪ বলে ৬৩ রান করে গাইকোয়াড বিদায় নিলে ধীরে ধীরে চেন্নাইয়ের হাত থেকে ম্যাচ ফসকাতে থাকে।
রবীন্দ্র জাদেজা শেষ দিকে চেষ্টা চালালেও সেটা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিলো না। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২০ রান প্রয়োজন হলেও ১৩ রান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় চেন্নাইকে। তাদের ইনিংস শেষ হয় ১৭৬ রানে। জাদেজা অপরাজিত থাকেন ২২ বলে ৩২ রানে। রাজস্থানের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট তুলে নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
আরও পড়ুন: দুই সপ্তাহ পর মাঠে নেমেই মেসির গোল, জেতালেন মায়ামিকে