আনক্যাপড প্রিয়াংশ আরইয়ার রেকর্ড গড়া শতকে চেন্নাই সুপার কিংসকে ঘরের মাঠে ১৮ রানে হারিয়েছে পাঞ্জাব কিংস। মাত্র ৩৯ বলে তরুণ এই তারকার শতকে ২১৯ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় পাঞ্জাব। জবাবে ২০১ রানেই থেমে যায় ধোনি-রুতুরাজদের ইনিংস। আর তাতে ১৮ রানের জয় পায় পাঞ্জাব।
আরও পড়ুন: টাইব্রেকারে বসুন্ধরাকে হারিয়ে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনী
চন্ডীগড়ে টস জিতে শুরুতেই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। ইনিংসের প্রথম বলেই ছক্কা হাকিয়ে রানের খাতা খোলেন তরুণ ওপেনার প্রিয়াংশ আরইয়া। একেবারে শুরু থেকেই আগ্রাসী মনোভাব দেখাতে থাকেন বাহাতি এই তারকা। গোটা পাওয়ার প্লে জুড়ে চেন্নাইয়ের বোলারদের উপর ঝড় তুলতে থাকেন প্রিয়াংশ আরইয়া। ৬ষ্ঠ ওভারের শেষ বলে বিশাল এক ছক্কা মেরে নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করেন প্রিয়াংশ। মাত্র ১৯ বলে আইপিএল ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম ফিফটির দেখা পান এই ব্যাটার।
এক প্রান্ত থেকে প্রিয়াংশ ঝড় চললেও অন্য প্রান্তে পাঞ্জাবের টপ অর্ডার ব্যর্থতার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে যায়। প্রাভসিমরান, শ্রেয়াস আইয়ার, মার্কাস স্টয়নিস তিনজনই পাওয়ার প্লেতে বিদায় নিয়েছেন দুই অংকের ঘরে পৌঁছানোর আগেই। তবে প্রিয়াংশ জাদুতে তিন উইকেট হারালেও প্রথম ছয় ওভারে ৭৫ রান তুলে ফেলে পাঞ্জাব। ব্যাট হাতে এদিন ব্যর্থ ছিলো নেহাল ওয়াধেরা ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও।
আরও পড়ুন: শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ইডেনে কলকাতার হার
৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে শশাংক সিংকে সাথে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন প্রিয়াংশ। ইনিংসের ১৩তম ওভারে মাথিশা পাথিরানাকে টানা তিন ছক্কা মেরে তুলে নেন আইপিএল ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম শতক, তাও আবার মাত্র ৩৯ বলে। আইপিএলের দ্রুততম সেঞ্চুরির তালিকায় যা আবার জায়গা করে নিয়েছে যৌথভাবে চতুর্থ স্থানে। তবে পরের ওভারেই ৪২ বলে ১০৩ রান করে বিদায় নেন এই ওপেনার।
প্রিয়াংশের বিদায়ের পর ব্যাট হাতে ঝড় বজায় রাখেন মার্কো ইয়ানসেন ও শশাংক সিং। ৭ম উইকেট জুটিতে দুজনে মিলে যোগ করেন ৩৮ বলে ৬৫ রান। আর তাতে নির্ধারিত ওভারের খেলা শেষে পাঞ্জাবের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ২১৯ রান। ৩৬ বলে ৫২ রানে অপরাজিত ছিলেন শশাংক সিং। ইয়ানসেনের ব্যাটে আসে ১৯ বলে ৩৪ রান। চেন্নাইয়ের হয়ে খলিল ও অশ্বিন তুলে নেন সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট।
আরও পড়ুন: তাসকিন-এবাদত কেন নেই, ব্যাখ্যা করলেন প্রধান নির্বাচক
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ায় প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৯ রান তুলে ফেলে চেন্নাই। তবে পাওয়ার প্লের পরের ওভারেই বিদায় নেন রাচিন রবীন্দ্র। অধিনায়ক রুতুরাজ গাইকোয়ারও এদিন ব্যাট হাতে রান তুলতে পারেননি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ডেভন কনওয়ে ও শিভম দুবে মিলে দলের খাতায় যোগ করে ৫১ বলে ৮৯ রান। তবে ২৭ বলে ৪২ রান করে দুবের বিদায়ের পর কনওয়েও রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছেড়েছেন ৪৯ বলে ৬৯ রান করে।
শেষ দিকে এসে ধোনি তিন ছক্কায় ১২ বলে ২৭ রান করলেও ম্যাচ জেতার জন্য তা যথেষ্ট ছিলো না। ম্যাচের শেষ ওভারে ২৮ রান প্রয়োজন হলেও মাত্র ৯ রানই তুলতে পারে পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা। আর তাতে করে ১৮ রানে ম্যাচ হারতে হয় চেন্নাইকে। এই জয়ে ছয় পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে উঠে এলো শ্রেয়াস আইয়ারের পাঞ্জাব। অন্যদিকে ৫ ম্যাচ শেষে দুই পয়েন্ট নিয়ে চেন্নাইয়ের অবস্থান নয়ে।
আরও পড়ুন: তাসকিনকে বিশ্রমে রেখে প্রথম টেস্টের দল ঘোষণা