চার বছর আইপিএলে দেখা মিললো সুপার ওভারের। দিল্লিতে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই করেও নির্ধারিত ওভারের খেলা শেষে জয় তুলতে পারেনি কোনো দলই। তবে সুপার ওভারে স্টার্কের অসাধারণ বোলিংয়ে মাত্র ১১ রানেই গুটিয়ে যায় রাজস্থান। জবাবে রাহুল ও স্টাবসের ব্যাটে ভর করে দুই বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছেছে সফরকারীরা।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশের সামনে সহজ সমীকরণ
সুপার ওভারে বল হাতে দারুণ বোলিং করার আগে মূল ম্যাচেও নায়ক ছিলেন স্টার্কই। শেষ ওভারে জয়ের জন্য রাজস্থানের প্রয়োজন ছিলো মাত্র নয় রান। তবে একের পর এক ইয়র্কারে কোনঠাসা হয়ে পড়ে ধ্রুব জুরেল ও শিমরন হেটমেয়ার। আর তাতে করে প্রায় জেতা ম্যাচ ড্র করেই ক্ষান্ত হতে হয় রাজস্থানকে।
ম্যাচের শুরুতে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান রয়্যালস। ব্যাট করতে নেমে বেশ ঝড়ো শুরু করে দিল্লির দুই ওপেনার। প্রথম ওভারে জ্যাক-ফ্রেজার দুই চার হাঁকালেও ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে চারটি চার ও একটি ছক্কায় ২৩ রান তুলে নেন অভিষেক। যদিও শুরুর এই ধাক্কা সামলে নেয় সফরকারীরা। পাঁচ বলের মধ্যে জ্যাক-ফ্রেজার ও কারুন নায়ারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে দিল্লি। দারুণ শুরুর পরও পাওয়ার প্লে থেকে মাত্র ৪৬ রান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় স্বাগতিকদের।
আরও পড়ুন: মুস্তাফিজকে ম্যানেজ করে খেলাবে মোহামেডান
তৃতীয় উইকেট জুটিতে রাহুল ও পোরেল মিলে দলের খাতায় যোগ করেন ৬৩ রান। তবে এই রান করতে গিয়ে ৫৭ বল খরচ করে ফেলে এই দুই ব্যাটার। আর তাতেই ক্রমশ ম্যাচের লাগাম হারাতে শুরু করে দিল্লি। দলীয় ৯৭ রানে বিদায় নেন রাহুল এবং পোরেল আউট হবার সময় স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিলো ১০৫ রান। তবে সেখান থেকে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন অধিনায়ক আক্সার প্যাটেল ও ট্রিস্টান স্টাবস। ১৪ বলে চারটি চার ও দুইটি ছক্কায় ৩৪ রান আসে আক্সারের ব্যাটে। স্টাবসও অপরাজিত থাকেন আক্সারের সমান ৩৪ রানে। মূলত শেষ দিকে এই দুই ব্যাটারের ঝড়ে নির্ধারিত ওভারের খেলা শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৮৮ রান। রাজস্থানের হয়ে সর্বোচ্চ দুইটি উইকেট তুলে নেন জোফরা আর্চার।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের দুই ওপেনারও ব্যাট হাতে ঝড় তোলে। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে তুলে ফেলে ৬৩ রান। যদিও ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান স্যামসন। তার ব্যাটে আসে ১৯ বলে ৩১ রান। তবে রিয়ান পরাগ এসে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। ১১ বলে ৮ রান করে বিদায় নিয়েছে আক্সার প্যাটেলের বলে।
আরও পড়ুন: এ বয়সে আর এমন ম্যাচ না: পন্টিং
ইয়াশাসভি জয়সওয়াল অবশ্য ছিলেন এক প্রান্ত আগলে রেখে। ৩৪ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। তবে ফিফটি করে খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি এই ব্যাটার। ৫১ বলে বিদায় নিয়েছেন এই হার্ড হিটার। হুট করেই খেই হারিয়ে ফেলা রাজস্থানের ইনিংসে গতি আসে নিতিশ রানা ও ধ্রুব জুরেলের জুটিতে। বিশেষ করে নিতিশ রানার ২৮ বলে ৫১ রানের ইনিংসে জয়ের বেশ কাছে চলে যায় রাজস্থান।
ধ্রুব জুরেল ও শিরমন হেটমায়ার মিলে ক্যামিও এক জুটি গড়লেও শেষ ওভারে স্টার্কের বিপক্ষে ৯ রান নিতে ব্যর্থ হয় রাজস্থান। অজি এই পেসারের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আট রান করেই থামতে হয় রাহুল দ্রাবিড় শিষ্যদের। খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। যেখানে আবারো স্টার্ক জাদুতে জয় তুলে নেয় দিল্লি। এই জয়ে দশ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠলো আক্সার প্যাটেল বাহিনী। অন্যদিকে চার পয়েন্ট পাওয়া রাজস্থানের অবস্থান আটে।