অবশেষে থামলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জয়রথ। আইপিএলের মঞ্চে প্রথম ইনিংসে দুইশোর বেশি রান করে এর আগের ১৮ বারেই জয় পেয়েছিলো মুম্বাই। তবে রবিবার (১ জুন) পাঞ্জাবের বিপক্ষে অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি। শ্রেয়াস আইয়ারের পাঞ্জাবকে ২০৪ রানের লক্ষ্য দিয়েও ম্যাচ হারতে হয়েছে ৬ বল বাকি থাকতে। অধিনায়ক আইয়ারের অপরাজিত ৮৭ রানে ভর করে ১১ বছর পর ফাইনালের টিকিট কাটলো প্রীতি জিনতার পাঞ্জাব।
আরও পড়ুন: রুটের ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংসে সিরিজ জয় ইংল্যান্ডের
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বৃষ্টি বাধায় খেলা শুরু হয়েছে বেশ অনেকটাই দেরি করে। এমন ম্যাচে টসে জিতে নেয় লিগ টপার পাঞ্জাব। টস জিতে সিদ্ধান্ত নেয় আগে বল করার। বল হাতে শুরুটা বেশ দারুণ করে পাঞ্জাব। শুরুতেই রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে দেয় তারা, তবে মুম্বাইয়ের বাকি টপ অর্ডার ঠিকই পেয়ে যায় রানের দেখা। তিলক ভার্মার সাথে ৫১ রানের জুটি গড়ে কিছুটা চাপ কমান জনি বেয়ারস্টো। ২৪ বলে তার ব্যাটে আসে ৩৮ রান।
তিলক এরপর ২৯ বলে ৪৪ ও সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ ২৬ বলে ৪৪ রানের আরও এক কার্যকর ইনিংস খেলেন। শেষদিকে নামান ধিরের ১৮ বলে ৩৭ রানে মুম্বাই পৌঁছে যায় ২০৩ রানে। পাঞ্জাবের হয়ে সর্বোচ্চ দুইটি উইকেট নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। এছাড়া আর্শদীপ সিং বাদে বাকি সবার ঝুলিতেই যায় একটি করে উইকেট।
প্রথম ইনিংসে ২০০ এর বেশি রান করে কখনোই হারেনি মুম্বাই। স্বভাবতই পাঞ্জাবের জন্য ২০৪ রানের লক্ষ্যে বাড়তি চাপ যোগ হয়। এমনকি পাঞ্জাবের শুরুটা ছিল নড়বড়ে। প্রাভসিমরান সিং আউট হন দ্রুতই। এরপর প্রিয়ানশ আরিয়ার ব্যাটে কিছুটা গতি আসে, কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনিও।
আরও পড়ুন: হারিসের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
তিনে নেমে জশ ইংলিস খেলেন ২১ বলে ৩৮ রানের ঝড়ো ইনিংস। শ্রেয়াস আইয়ার ও নেহাল ওয়াধেরার ৯২ রানের জুটিতে পাঞ্জাব ম্যাচে ধরে রাখে নিয়ন্ত্রণ। নেহাল ২৯ বলে ৪৮ রান করে আউট হলেও শ্রেয়াস ঠিকই ক্রিজে ছিলেন। শশাঙ্ক সিং দ্রুত ফেরায় আবার একটু চাপ তৈরি হয়েছিল পাঞ্জাবের ওপর, কিন্তু এরপর আর কোনো ভুল হতে দেননি শ্রেয়াস।
তাঁর ৮৭ রানের ইনিংসটি পুরো ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। আটটি ছক্কার সঙ্গে পাঁচটি চারে সাজানো তার ৪১ বলের এই ইনিংস পাঞ্জাবকে পৌঁছে দেয় আইপিএলের শিরোপা জয়ের এক ধাপ সামনে। আগামী মঙ্গলবার (৩ জুন) আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি হবে পাঞ্জাব। ফলে এবারের আসর যে দেখা পাচ্ছে নতুন কোনো চ্যাম্পিয়নের সেটাও নিশ্চিত।