পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)-এর ফাইনালে উঠলো সাকিব-রিশাদ-মিরাজদের নিয়ে গড়া লাহোর কালান্দার্স। শুক্রবার (২৩ মে) লাহোরে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ার ম্যাচে রিশাদ জাদুতে ৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে লাহোর কালান্দার্স। আর এই জয়ে পিএসএলের দশম আসরের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে লাহোর, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকছে কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্স।
আরও পড়ুন: রিশাদ-সাকিবকে নিয়েই মাঠে নামছে লাহোর
এদিন টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লাহোরের অধিনায়ক শাহীন শাহ আফ্রিদি। ব্যাট হাতে ইনিংসের শুরুটা ভালো করলেও ফখর জামান টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ১২ রান করেই ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এরপর দলের খাতায় ৭০ রান যোগ করেন মোহাম্মদ নাইম ও আব্দুল্লাহ শফিক। যদিও দুই ব্যাটারের ব্যাটিং ধরন ছিলো ভিন্ন, নাইম ঝড়ো গতিতে ব্যাট চালালেও আব্দুল্লাহ শফিকের ইনিংসে শেষ হয় ১০৫ এর কম স্ট্রাইক রেটে।

নাইম ২৫ বলে ৫০ করে বিদায় নিলে শফিকও প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটা ধরেন ২৪ বলে ২৫ রান করে। তবে এরপরই ব্যাট হাতে তান্ডব শুরু করেন দুই লঙ্কান ব্যাটার কুশাল পেরেরা ও ভানুকা রাজাপাকশে। ভানুকা অবশ্য ফিরে যান ১৩ বলে ২২ রান করে। তবে কুশাল ঠিকই তুলে নেন অর্ধশতক। তার ৩৫ বলে ৬১ রানের ইনিংসে ভর করেই দুইশোর কাছাকাছি চলে যায় লাহোর। শেষ দিকে আসিফ আলীর ৭ বলে ১৫ ও রিশাদের এক চারে ২০২ রানে পৌঁছায় লাহোর। ইসলামাবাদের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট তুলে নেন টাইমাল মিলস।
আরও পড়ুন: রিশাদের চারে দুইশো পেরোলো লাহোর, আবারো ব্যর্থ সাকিব
২০৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সর্ষে ফুল দেখতে শুরু করে ইসলামাবাদের ব্যাটাররা। শাহিবজাদা ফারহান, মুহাম্মদ শাহজাদ, রাসি ভ্যান ডার ডুসেন এবং ইমাদ ওয়াসিম চারজনই বিদায় নেন পাওয়ার প্লেতে। সালমান মির্জার বোলিং তোপে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছানোর আগেই বিদায় নিতে হয়েছে চার ব্যাটারকেই।

প্রথম ছয় ওভারে ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তখন পুরোপুরি চাপে ইসলামাবাদ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার কাজ করছিলেন সালমান আগা ও অধিনায়ক শাদাব খান। দুজনে মিলে ৩৯ রানের জুটিও গড়ে ফেলেন। তবে ২৬ বলে ৩৩ রান করা সালমানকে বিদায় করে সেই জুটি ভাঙেন টাইগার লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। ইসলামাবাদের অধিনায়ক শাদাব খানকেও প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান এই রিশাদই। একই ওভারে জিমি নিশামকেও আউট করে লাহোরের জয় এক প্রকার নিশ্চিত করে ফেলেন বাংলার এই লেগি।

আরও পড়ুন: সাদা বলেও নিজেকে প্রমাণের অপেক্ষায় খালেদ
শেষ পর্যন্ত আর কেউই খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেন ১০৭ রানেই গুটিয়ে যায় ইসলামাবাদ। ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত হয়ে লাহোরের। বল হাতে লাহোরের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ উইকেট তুলে নেন সালমান মির্জা, শাহীন শাহ আফ্রিদি ও রিশাদ হোসেন। তিনজনে তুলে নেন তিনটি করে উইকেট। আগামী রবিবার (২৫ মে) কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সের বিপক্ষে শিরোপার লড়াইয়ে মাঠে নামবে লাহোর।